গৃহস্থের ঘর আলোয় ভরছে ছাদের সূর্য স্পর্শ, পকেটে ঢুকছে টাকা
বাড়ির ছাদ থাকে। তবে সে ছাদ যদি একটু অন্যরূপে সেজে ওঠে তাহলে গৃহস্থের ঘর আলোয় ভরে উঠতে পারে। নুনের রাজত্বে পথ দেখাচ্ছে সূর্য ঘর।

ভারতের নুনের রাজত্ব বললেই সবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাদা নুনের অনন্ত প্রান্তর। যা দেখতে পাওয়া যায় গুজরাটের কচ্ছের রণে। এই কচ্ছ জেলায় সূর্যের আলো প্রায় সারাবছর ভরে থাকে। সূর্য সারাবছর ঝলমল করে সারাদিন।
সেই ঝলমলে সূর্যই এখন রাতের অন্ধকার মুছে সন্ধে নামার পর আলোয় ভরিয়ে দিচ্ছে কচ্ছের অধিকাংশ গৃহস্থের বাড়ি। শুধু কি আলোয় ভরিয়ে দেওয়া! সেই সঙ্গে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের সাশ্রয়ও হচ্ছে। আবার বছর শেষে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টেও ঢুকছে।
এই জ্যাকপট কচ্ছের অনেক পরিবারই পাচ্ছে সূর্য ঘর যোজনায়। প্রধানমন্ত্রী সূর্য ঘর যোজনা হল প্রতিটি বাড়িকে সৌরশক্তিতে সমৃদ্ধ করে তোলার চেষ্টা। দরকার শুধু বাড়ির ছাদ বা খোলা একটা অংশ।
যেখানে ৩ কিলোওয়াটের এই সোলার প্যানেল বসানো হচ্ছে। সহজ করে বললে সারাদিনে ১৮ ইউনিট বিদ্যুৎ এই সোলার প্যানেল থেকে পাচ্ছে প্রতিটি পরিবার। যারা এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় সরকার ৩ কিলোওয়াট সোলার প্যানেল বসানোর জন্য একটি পরিবারকে ৭৮ হাজার টাকার ভর্তুকি দেয়। আর এই প্যানেল বসানোর খরচ দেড় লক্ষ টাকা থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। তাহলে এক ধাক্কায় খরচ কমে আসছে ৯২ হাজারে।
এই টাকাটা খরচ করে সূর্য ঘর প্রকল্পে সরকারি ভর্তুকি পেতে পারে যেকোনও পরিবার। এই খরচটা একবারই করতে হবে। তারপর আর বিদ্যুতের বিল মেটানোর ঝক্কি থাকবেনা।
কারণ একদিনে ১৮ ইউনিট বিদ্যুৎ তো সোলার প্যানেল থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। এতেই বাড়ির আলো, পাখা থেকে বাকি সবধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চালিয়ে নেওয়া যায়।
কচ্ছের অনেক পরিবারই এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাড়িকে সোলার প্যানেলে আলোকিত করছে। আবার রোজগারও করছে। এক তো সারাবছরে বিদ্যুৎ বিলের এক টাকাও খরচ নেই। সেই সঙ্গে দিনে পুরো ১৮ ইউনিট তাদের লাগেনা।
যে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে তা পরিবারগুলি গ্রিডে পাঠাচ্ছে। বছরের শেষে সেই বিদ্যুৎ গ্রিডকে দেওয়ার জন্য তাদের অ্যাকাউন্টে ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা ঢুকে যাচ্ছে। ফলে বেঁচে যাওয়া বিদ্যুৎ নষ্টও হচ্ছেনা, আবার রোজগারও হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা