National

সিঙ্গারা, জিলিপির ক্ষেত্রেও সিগারেটের প্যাকেটের মত লেখা থাকবে সতর্কবাণী, নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক

সিগারেটের প্যাকেটে যেমন ব্যবহারকারীর জন্য লিখিত সতর্কবাণী থাকে, তেমনই এবার সিঙ্গারা, জিলিপির ক্ষেত্রেও করতে হবে। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে এমনই নির্দেশ দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

সিঙ্গারা, জিলিপির মত মুখরোচক এবং বহুল প্রচলিত ভারতীয় স্ন্যাক্সগুলিকে এবার প্রায় সিগারেটের মতই ক্ষতিকারকের তালিকায় ফেলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে তাদের ক্যান্টিন বা খাবার জায়গায় একটি করে অয়েল অ্যান্ড সুগার বা তেল ও চিনি-র বোর্ড লাগাতে হবে।

যেখানে সিঙ্গারা, জিলিপির মত খাবারে থাকা তেল ও চিনির পরিমাণ লেখা থাকবে। যা দেখিয়ে সতর্ক করা হবে সকলকে। ঠিক যেমন সিগারেটের প্যাকেটে গ্রাহকদের সতর্ক করে তামাকের ক্ষতিকর দিকটি তুলে ধরা হয়।

তবে এমন নয় যে সিঙ্গারা, জিলিপির মত খাবারগুলির বিক্রিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিটি গ্রাহককে খাওয়ার আগে সতর্ক করা হবে এবার।

ভারতে এখন যেভাবে ক্রমে স্থূলতা বা মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে তাতে লাগাম দিতে এবং ফিট ইন্ডিয়া উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে এই পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

সিঙ্গারা, জিলিপির মত বিভিন্ন জনপ্রিয় খাবারে কতটা পরিমাণ তেল ও মিষ্টি রয়েছে, আর তা স্বাস্থ্যের পক্ষে কতটা ক্ষতিকর তা অবশ্য বোর্ডে স্পষ্ট করে লেখা থাকবে।

সিগারেট কেনা যেমন বেআইনি নয়, তবে তার প্যাকেটে সতর্ক করা হয় গ্রাহকদের, ঠিক তেমনই এবার দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ২টি স্ন্যাক্স সিঙ্গারা ও জিলিপির ক্ষেত্রে লিখিতভাবে তার ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরা হবে।

সেটা জেনেও যাঁরা কিনতে চাইবেন তাঁদের কেনায় কোনও বাধা নেই। এই তালিকায় অবশ্য শুধু সিঙ্গারা বা জিলিপিই নয়, রয়েছে কচুরি, পকোড়া, কলার চিপস, চকোলেট পেস্ট্রি, নরম পানীয়, পিৎজা এবং বার্গারও।

মানবদেহে এগুলির কি কুপ্রভাব পড়বে তাও এই তালিকায় স্পষ্ট করা থাকবে। ভারতবাসীকে স্বাস্থ্য সচেতন করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই পদক্ষেপ আগামী দিনে কি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানের বাইরে বেরিয়ে সর্বত্র বাধ্যতামূলক হবে? সে উত্তর মেলেনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *