১০০ বছরে পা দিল এই মেলা, কলা, রাঙা আলুর সঙ্গে মেশে নানারকমের বিনোদন
এ মেলা কেবল একটি আনন্দ প্রদানকারী মেলাই নয়, একটা সংস্কৃতি। একটা পরম্পরা। যা ১০০ বছর পার করল। আর ১০০ বছর পার করে তার আকর্ষণ বেড়েই চলেছে।

নদীর ধারে পিতৃপুরুষকে স্মরণ করার কথা বললেই মনে পরে মহালয়ার দিনের কথা। তর্পণের কথা। এটাও তেমনই এক পরম্পরা। স্থানীয় তবে পারম্পরিক। নদীর ধারে দাঁড়িয়ে বিশেষ পুজোপাঠ মেনে পিতৃপুরুষকে স্মরণ।
এই পিতৃপুরুষকে স্মরণের মধ্যে দিয়েই এই বাৎসরিক আয়োজনের শুরু হয়। এরপর সব বয়সের মানুষ মেতে ওঠেন মেলাকে কেন্দ্র করে। যে মেলা শতবর্ষ ধরে পরিচিত কলা, রাঙা আলু ও সাগুর মেলা হিসাবে।
কৃষকরা এই ৩ ধরনের ফসল তো বটেই, তার সঙ্গে আরও নানা ফসলের পসরা সাজিয়ে হাজির হন এই মেলায়। যা আনাজের প্রদর্শনীর চেহারা নেয়। এটাই এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ।
আর মেলা যখন তখন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা তার বিনোদনের চেহারা বদলেছে। এখন নানাধরনের রাইড আসে এখানে। হয় বাইক নিয়ে ঝুঁকির স্টান্ট। বক্সিং ম্যাচও এই মেলার এক বিশেষ আকর্ষণ।
তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী জেলার কুজিথুরাই পুরসভার মাঠে এই মেলার আয়োজন হয়। যা এবার শতবর্ষে পা রাখল। কুজিথুরাইইয়ারু নামে একটি নদী বয়ে গেছে এখান দিয়ে। সেই নদীর জলেই হয় পিতৃপুরুষকে নানা রীতি নীতি মেনে স্মরণ।
তারপর এই মেলায় কৃষকদের উৎপন্ন ফসলের প্রদর্শনী দেখে, মেলায় নানা বিনোদনে অংশ নিয়ে বাড়ি ফেরা। এটাই চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে। যা আজও অম্লান।
কন্যাকুমারী জেলা ও লাগোয়া কেরালা থেকেও অনেক মানুষ এই বাবুবলি প্রদর্শনীতে অংশ নিতে হাজির হন পরম উৎসাহে। এই মেলার অপেক্ষায় থাকেন সারা বছর। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা