চা ও খাবারের দোকানের নামে প্রধানমন্ত্রী, নামের চমকেই বিখ্যাত রাস্তার ধারের রেস্তোরাঁ
চা তো পাওয়াই যায়। তার সঙ্গে খাবারদাবারও পাওয়া যায়। রাস্তার ধারে তৈরি হওয়া এই নতুন দোকান রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে উঠেছে কেবল তার নামের চমকে।

নিজে রাজস্থানের বাসিন্দা। তবে প্রথমে একটি পোশাকের দোকান করেন চণ্ডীগড়ে। দোকানটা তেমন চলেনি। ব্যবসায় লোকসান দেখে সেই দোকান বন্ধ করে দেন তিনি। পোশাক ব্যবসা থেকেই সরে আসেন। চলে আসেন অযোধ্যায়। সেখানে খাবারের দোকান খোলেন।
এখানে ব্যবসা ভালই চলছিল। কিন্তু রাম মন্দির নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণের সময় তাঁকে দোকান বন্ধ করতে হয়। তবে তিনি দমে যাননি। অযোধ্যার পাট গুটিয়ে তিনি চলে আসেন দিল্লি দেরাদুন হাইওয়ের বারেদি গ্রামের কাছে।
৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে খোলেন নতুন রেস্তোরাঁ। যার নাম দেন ‘প্রধানমন্ত্রী চায়েওয়ালা’। খাবারের মান ও রেস্তোরাঁর পরিচ্ছন্নতার প্রতি তিনি খুবই যত্নবান। এই পথে এমন অনেক রেস্তোরাঁ রাস্তার ২ ধারে ছড়িয়ে আছে।
তাদের অনেক পরে মাত্র ২ মাস হল অভিষেক পানওয়ার তাঁর এই রেস্তোরাঁ শুরু করেছেন। কিন্তু কেবল নামের চমকে তিনি এখন এই পথে তো বটেই, এমনকি ভারতজুড়েই বিখ্যাত। শুধু তাঁর দোকানের নামের টানেই বহু পথচলতি মানুষ এখানে হাজির হচ্ছেন প্রতিদিন।
প্রধানমন্ত্রী চায়েওয়ালা, কেন এমন একটা নাম? অভিষেক জানিয়েছেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই আরএসএস-এর মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পরম ভক্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জীবনের প্রথম ভাগে চা বিক্রির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেকথা সকলের জানা।
সেটা মাথায় রেখেই অভিষেক তাঁর চা ও খাবারের দোকানের নাম দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী চায়েওয়ালা। এই নামের কামালেই অভিষেকের দোকান এখন ওই পথে অতিব্যস্ত দোকানে পরিণত হয়েছে। যেখানে রাতদিন ভিড় জমাচ্ছেন অতিথিরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা