মেঘ ভাঙল উত্তরকাশীতে, নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য স্থগিত চারধাম যাত্রা
গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথ, এই ৪ ধাম যাত্রা নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য স্থগিত করল প্রশাসন। এদিকে উত্তরকাশীতে মেঘে ভেঙেছে। নেমেছে ধস।

পাহাড় থেকে তোড়ে নেমে আসছে জল। পুণ্যার্থীদের ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার জোগাড়। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছিল কয়েকদিন ধরেই। অলকানন্দায় গড়িয়ে যায় বাস। খাদে পড়ে যায় গাড়ি। অনর্গল বৃষ্টিতে পাহাড় এখন ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে।
তবে প্রতিবছরের মত এবছরও এরমধ্যেই চারধাম যাত্রা চলছে। পুণ্যার্থীরা এই প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই চারধাম যাত্রা করছেন। ধস, পাহাড়ের গা বেয়ে প্রবল বেগে ঝরতে থাকা জলধারা, রাস্তা ভেঙে যাওয়া, বৃষ্টি মাথায় করে এগিয়ে চলা, এমন নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও চলছিল যাত্রা।
তবে এমন অবিরাম বৃষ্টি ও উত্তরকাশীতে মেঘ ভাঙার জেরে আপাতত ২৪ ঘণ্টার জন্য চারধাম যাত্রা স্থগিত করেছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। যাঁরা চারধামের দিকে যাত্রা করছিলেন তাঁদের যে যেখানে রয়েছেন সেখানেই থেমে যেতে বলেছে প্রশাসন। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আর এগোতে মানা করা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ড জুড়েই অতি প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড়ে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। এরমধ্যেই উত্তরকাশীতে মেঘ ভেঙেছে। ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়েছে। মেঘ ভাঙার জেরে বারকোট যমুনোত্রী রুটে বালিগড়ে ৮ জন শ্রমিক হারিয়ে গেছেন। তাঁদের কোনও খোঁজ নেই।
একটি হোটেল তৈরির কাজে নিযুক্ত ছিলেন তাঁরা। রবিবার সকালে যখন মেঘ ভাঙে তখন অতি প্রবল বৃষ্টির জেরে প্রবল বেগে হড়পা বান বইতে থাকে। তাতেই ভেসে যান ৮ জন।
এখানে রাস্তার ১০ মিটারের মত একটা অংশ অতিবৃষ্টির জেরে ভেঙে ধুয়ে গেছে। সেটা সারাই করতে কিছুটা সময় লাগবে বলেই জানিয়েছে প্রশাসন।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি সারাক্ষণ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন বলে নিজেই জানিয়েছেন। পরিস্থিতি যে অতিবৃষ্টির জেরে অত্যন্ত জটিল আকার নিয়েছে তা উত্তরাখণ্ড প্রশাসনের বক্তব্য থেকেই পরিস্কার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা