কুম্ভমেলায় হারিয়ে যাওয়া পুরোহিতকে ৪ মাস পর পাওয়া গেল দেশের অন্য শহরে
কুম্ভমেলায় শাহি স্নানের আগেই তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। তারপর ৪ মাস তাঁর খোঁজ ছিলনা। অবশেষে তাঁর দেখা হল পরিবারের সঙ্গে।

প্রয়াগরাজে কুম্ভমেলার সময় এবার রেকর্ড সংখ্যক মানুষের সমাগম গোটা বিশ্বের নজর কেড়ে নেয়। সেখানে মৌনী অমাবস্যার শাহি স্নানে লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নামে ত্রিবেণী সঙ্গমে। সেখানে পবিত্র স্নানের পরশ পেতে তিনিও হাজির হয়েছিলেন পরিবারের সঙ্গে।
তিনি পেশায় একজন পুরোহিত। একটি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত তিনি। তাঁর ছেলেও পৌরহিত্যের কাজ করেন। মৌনী অমাবস্যার আগের দিন ত্রিবেণী সঙ্গমের কাছে পরিবারের সকলের সঙ্গেই ছিলেন কর্ণাটকের হাসান জেলার মোসলে গ্রামের বাসিন্দা নরসিমামূর্তি।
সেই পরিবারের সঙ্গে তাঁর শেষবার দেখা হয়। তারপর থেকে তাঁকে আর মেলা চত্বরে খুঁজে পাননি তাঁর পরিবারের কেউ। অগত্যা অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁর ছেলে বদ্রীনাথ পুলিশের কাছে বাবার নিখোঁজ হওয়া নিয়ে ডায়েরি করেন।
পুলিশও নরসিমামূর্তির খোঁজ পায়নি। নরসিমাস্বামী মন্দিরের পুরোহিত নরসিমামূর্তিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। মাসের পর মাস কাটতে থাকে। জানুয়ারির শেষে হারিয়ে যাওয়া সেই পুরোহিতের অবশেষে খোঁজ মিলল ৪ মাস পর।
তাঁকে পাওয়া গেল প্রয়াগরাজ থেকে অনেক দূরে মুম্বই শহরে। তাঁর গ্রাম মোসলের কয়েকজন বাসিন্দা মুম্বইতে কাজ করেন। তাঁদের নজরে পড়েন নরসিমামূর্তি। দেখা পেতেই তাঁরা পুরোহিতের পরিবারকে বিষয়টি জানান।
শ্রদ্ধা রিহ্যাবিলিটেশন সেন্টার নামে একটি সংগঠন ওই ব্যক্তির দেখভাল করছিল। বিষয়টি জানার পর সংগঠনের তরফে নরসিমামূর্তিকে তাঁর গ্রামের মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁরা তাঁকে গ্রামে ফিরিয়ে আনেন।
৪ মাস পর পরিবারের সঙ্গে ফের মিলিত হন ওই প্রৌঢ়। তাঁর ছেলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা ভুলে যান সবকিছু। সেটাই এই হারিয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ।