রাস্তা দিয়ে যাওয়া মোষের গলায় বিশেষ মালা পরিয়ে প্রতিবাদ, অভিনবত্বেই বাজিমাত
প্রতিবাদ তো অনেকেই করে। কিন্তু সেই প্রতিবাদ কতটা মানুষের নজর কাড়ছে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তা দিয়ে যাওয়া একটা মোষকে প্রতিবাদের ভাষা করে তুললেন প্রতিবাদীরা।

নানা ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রতিবাদ হতে থাকে। কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা একটা বড় বিষয়। যা স্থির করে দেয় প্রতিবাদ কতটা বেশি মানুষের নজর কাড়ল। তা কতটা প্রতিবাদের বিষয়টি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারল। সেখানেই কার্যত বাজিমাত করল লোডশেডিং নিয়ে প্রতিবাদ।
একে অসহ্য গরম। তারমধ্যে দিনের পর দিন লোডশেডিং হচ্ছে। গরমে প্রাণান্তকর অবস্থা। কেন লোডশেডিং নিয়ে কোনও সুরাহার বন্দোবস্ত হচ্ছেনা। সেই প্রশ্ন তুলে শহরের মানুষ প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় এক মন্ত্রীও।
তাঁরা যখন প্রতিবাদ করছিলেন তখনই সেখান দিয়ে একটি মহিষ নিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। মহিষটি তাঁরই। এই মহিষটিকে দেখামাত্র তার দিকে এগিয়ে আসেন ওই প্রাক্তন মন্ত্রী। তারপর ওই মহিষের গলায় একটি প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেন।
সেই প্ল্যাকার্ডে লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কথা লেখা ছিল। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কথা লেখা ছিল। সেটা ঝোলানোর পর ওই প্রাক্তন মন্ত্রী প্রদীপ জৈন আদিত্য একটি বিনের মত বাঁশি নিয়ে মহিষটির সামনে দুলিয়ে দুলিয়ে বাজাতে থাকেন। যেমন সাপুড়েরা সাপের সামনে বিন বাজায়।
হিন্দি বলয়ে একটি প্রবচন প্রচলিত। ভ্যায়স কে আগে বিন বাজানা, যার বাংলায় অর্থ হল অরণ্যে রোদন। মানে প্রতিবাদ করাই সার। দিনের পর দিন লোডশেডিংয়ের প্রতিকারের দাবি সার। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি কানেও তুলছে না। ঝাঁসি শহরে হওয়া এই প্রতিবাদ দ্রুত খবর হয়ে যায় সর্বত্র।
একটি প্রচলিত প্রবচনকে এভাবে বাস্তব রূপ দিয়ে প্রতিবাদকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া গোটা দেশের নজর কেড়ে নিয়েছে। যে লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সেই বার্তাও কর্তৃপক্ষের কাছ পর্যন্ত পৌঁছল সহজে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা