লুটেরা বধূর জারিজুরি শেষ, মিথ্যের জাল বুনে ২৫টি জয়ের পর মিথ্যেই হারাল তাকে
এই কাহিনির মত একটি কাহিনি বলিউডে ইতিমধ্যেই সুপারহিট। তারপরেও এটা বলাই যায় যে এই লুটেরা বধূর কাহিনি নিয়ে সিনেমা হলে তা সুপারহিট হতেই পারে।

অতি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। পরিবার বলতে একটি ভাই রয়েছে। সেও বেকার। চরম দৈন্যদশায় থাকা যুবতী বিয়ে করার স্বপ্ন দেখে। ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু এমন দরিদ্র পরিবারের মেয়েকে কে বিয়ে করবে?
বিয়ে করতে ইচ্ছুক পাত্রদের কাছে এক পাত্রীর এমনই বায়োডাটা নিয়ে হাজির হতেন ঘটকরা। এটাও পরিস্কার করে দিতেন যে মেয়ের তুলনা হয়না, কিন্তু খরচ করতে পারবেনা। তাই বিয়ে হবে শুধু নিয়মটুকু মেয়ে।
কেউ রাজি থাকলে তাঁকে এই বিয়ের আয়োজন বাবদ ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। ঘটক এটা স্পষ্ট করে দিতেন। তাতে যদি কেউ রাজি থাকেন তাহলে তিনি কথা এগোবেন।
এসব কথা জানার পর কেউ না কেউ রাজি হয়েই যেতেন। বিয়ের আয়োজন হত একটি মন্দির বা পাত্রের বাড়িতেই। বিয়ের পর ওই বছর ৩২-এর যুবতী প্রথম দিন থেকেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির প্রতিটি মানুষের মন জয় করে নিত।
অতুলনীয় ব্যবহার। নম্র, ভদ্র, বিনয়ী, সংস্কারি মেয়ে বাড়ির বউ হয়ে এসেছে এটা ভেবে বাড়ির সকলেই খুব আনন্দ পেতেন। কিন্তু বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই একদিন রাতে সকলের খাবারে লুকিয়ে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিত নববধূ। তারপর রাতে সকলে প্রায় অচেতন হয়ে পড়লে টাকা, গয়না নিয়ে চম্পট দিত।
এভাবেই চলত একের পর এক লুঠ। প্রতিবার আলাদা পরিচয়ে। আলাদা শহরে। একা নয়। ওই যুবতীর একটি দল ছিল। যার কেউ ঘটক সাজত। কেউ ভাই। সেই দল মিলেই এই লুঠ চালাত।
এভাবে ২৫ জনকে ঠকিয়েছে ওই যুবতী। নামই হয়ে গিয়েছিল লুটেরা দুলহন। যুবতীর আসল নাম অনুরাধা পাসোয়ান। রাজস্থানের বাসিন্দা। সে যাদের বিয়ে করে ঠকিয়েছিল তাঁদেরই একজন সোওয়াই মান সিং-এর বাসিন্দা ব্যক্তিটি পুলিশে পুরো ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে ওই যুবতীকে ধরতে জাল পাতে। এক কনস্টেবলকে পাত্র সাজিয়ে ঘটকের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে। সেই ফাঁদে পা দেয় ওই যুবতী। তারপরই তাকে ধরে ফেলে পুলিশ। যে মিথ্যের জাল বুনে ২৫ জনকে ঠকিয়েছিল ওই যুবতী, সেই সাজানো জালই তাকে ধরিয়ে দিল।