দেড় কোটি টাকা চুরি করে পাপক্ষালন করতে কিছুটা মন্দিরে প্রণামী দিল চোর
এমন ঘটনাও ঘটে। চোর চুরি করে। তারপর তার মধ্যে হয়তো পাপবোধ জেগেছিল। তাই মন্দিরে গিয়ে সেই চুরির টাকার একটা অংশ প্রণামী দিয়ে আসে।

তাকে বিশ্বস্তই মনে করতেন তার মালিক। ১০ বছর ধরে তাঁর গাড়ি চালাচ্ছে। ১০ বছরে তাকে দেখে তার মালিকের কখনও মনে হয়নি যে সে চুরিও করতে পারে। তাই তাকে বিশ্বাস করে পেশায় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টান্ট ব্যক্তিটি ১ কোটি ৫১ লক্ষ টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ তার হাতে দেন গাড়িতে রাখার জন্য।
কিন্তু গাড়িতে চড়ার জন্য বার হতে তিনি দেখেন গাড়িও নেই। চালকও নেই। টাকার ব্যাগও নেই। তিনি দ্রুত অন্য একটি গাড়ি নিয়ে অফিসে পৌঁছে দেখেন তাঁর গাড়িটি সেখানে রাখা থাকলেও চালক ও টাকার ব্যাগ উধাও।
রাজেশ নামে ওই চালককে ফোন করেন তিনি। চালক জানায় ওষুধ কিনছে, কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরবে। কিন্তু রাজেশ আর ফেরেনি। টাকার ব্যাগও ফেরত আসেনি। তখন ওই সিএ পুলিশের অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্তে নেমে দ্রুত রাজেশকে আত্মসমর্পণের বার্তা দেয়। তাকে থানায় আসতে বলে। রাজেশও অবশেষে থানায় এসে নিজের অপরাধ স্বীকার করে নেয়। সে এও জানায় ওই টাকা থেকে কিছু টাকা দিয়ে সে পরিবারের জন্য কিছু জিনিসপত্র কিনেছে।
কয়েক হাজার টাকা মন্দিরে প্রণামী হিসাবে দিয়েছে। নিজের পাপক্ষালনেই কি মন্দিরে প্রণামী? রাজেশ নিজে মুখে এমন কিছু না জানালেও সেটই মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ প্রায় সব টাকাই উদ্ধার করেছে। তবে মন্দিরে দেওয়া প্রণামী উদ্ধার সম্ভব হয়নি। দেবতার উদ্দেশ্যে দান করা টাকা ফেরত হয়না। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরু শহরে।