হাসপাতালের বিছানা থেকে কনেকে কোলে তুলে নিলেন বর, তারপরটা ইতিহাস
কনেকে হাসপাতালের বিছানা থেকে তুলে নিলেন বর। কোলে তুলে নিলেন তাঁকে। তারপর যা করলেন তা একটা ইতিহাস হয়ে গেল।

বিয়ের বাকি আর ৭ দিন। ঠিক সেই সময় কনে পড়লেন অসুস্থ হয়ে। প্রথমে কাছাকাছি একটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় একটু দূরে একটি বড় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁর চিকিৎসা শুরু করেন।
এদিকে বিয়ে তো লাটে ওঠার জোগাড়। ২ পরিবার বসে পরবর্তী শুভদিনের খোঁজে। আর সেটা করতে গিয়ে দেখা যায় ২ পরিবারের সব শর্ত মেনে বিয়ের দিন ঠিক করতে গেলে বিয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে ২ বছরের মত। ২ বছর অপেক্ষা করতে রাজি ছিলেননা হবু বর। কিন্তু কিছু তো করার নেই। কনে তো হাসপাতালে শয্যাশায়ী।
বর কথা বলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। পুরো বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানার পর তাঁরা হাসপাতালের ওপিডি-তে বিয়ের অনুমতি দেন। মাঝরাতে লগ্ন। বর বরযাত্রীদের নিয়ে আগে থেকে স্থির করা সেই বিয়ের দিনেই হাজির হন হাসপাতালে।
তবে কোনও গান বাজনা বাদ। বিয়ের আয়োজনে অবশ্য ত্রুটি ছিলনা। বর হাসপাতালের বেডে পৌঁছে যান হবু স্ত্রীকে নিতে। তাঁর তো উঠে দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই। তাই নন্দিনী সোলাঙ্কি নামে ওই তরুণীকে কোলে তুলে নেন বর আদিত্য সিং।
কনে শয্যাশায়ী হলেও তাঁকে ওই সময়ের জন্য বিয়ের পোশাকে সাজানো হয়। তিনি বরের কোলেই বিয়ের মণ্ডপে হাজির হন। ওপিডি হয়ে উঠেছে বিবাহবাসর। সেখানে উপস্থিত হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে নার্স সকলেই।
তাঁদের সামনে হবু স্ত্রীকে কোলে তুলে সাতপাক দেন আদিত্য। বিয়ে হয়ে যায়। অবশ্য তারপরই ফের বেডে ফেরাতে হয় নন্দিনীকে। আপাতত তাঁর চিকিৎসা চলবে হাসপাতালে। তবে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। বর আদিত্যর এই কোলে তুলে বিয়ে হাসপাতালের রোগীদেরও মন ছুঁয়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলায়।