দক্ষিণ ভারতের একমাত্র জায়গা যেখানে শীতে তুষারপাত হয়
শীতের দিনে যদি কারও বরফ দেখার শখ মেটাতে হয় তাহলে তিনি দক্ষিণ ভারত যাবেননা। কিন্তু দক্ষিণ ভারতেও শীতে একটি জায়গায় তুষারে মুখ ঢাকে চারধার।
শীত আসছে। আর শীত মানে ভারতের উত্তরাংশে হিমালয় ও উপত্যকায় তুষারপাত। কাশ্মীর ঢেকে যাবে বরফের চাদরে। এটাই সকলের জানা। সকলে জানেন, শীতে বরফ দেখতে হলে যেতে হবে সিমলা, কুলু, মানালি সহ হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গায়।
যেখানে বরফের সাদা পুরু চাদরে মুখ ঢাকবে প্রকৃতি। কিন্তু শীতে বরফ দেখার জন্য কেউ কি দক্ষিণ ভারতকে বেছে নেবেন? এখানে একবাক্যে সকলের উত্তর হবে, না। কারণ দক্ষিণ ভারতে তো বরফ পড়েনা।
সকলের কাছে দক্ষিণ ভারতের আবহাওয়া হল গরম ও আর্দ্র। মোটেও কনকনে শীতে বরফের চাদরে মোড়া এলাকা নয়। প্রচুর বৃষ্টি হয় বলে সেখানে সবুজের কমতি নেই। কিন্তু বরফ দেখতে হলে দক্ষিণ ভারতীয়রাও বেছে নেন কাশ্মীর, হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, সিকিম সহ উত্তর ভারতের বাছাই জায়গাকে।
কিন্তু অনেকের হয়তো জানা নেই যে দক্ষিণ ভারতেও এমন এক জায়গা রয়েছে যেখানে তুষারপাত হয় শীতে। শীতের সময় সেই জায়গা বরফের চাদরে মুখ ঢাকে। তাও যে খুব উঁচুতে তা নয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার মিটার উচ্চতায় এই গ্রাম কিন্তু শীতে তুষারপাতের জন্য নিজেদের তৈরি রাখে।
দক্ষিণ ভারতের অন্যতম রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ। সেই রাজ্যের বিশাখাপত্তনমের একটি গ্রাম হল লম্বাসিঙ্গি। ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। অমন গ্রাম দক্ষিণে অনেক রয়েছে। কিন্তু এই গ্রামকে সকলে আলাদা করে চেনেন সেখানকার তুষারপাতের জন্য।
শীতের সময় এখানে পারদ নেমে যায় মাইনাস ২ ডিগ্রিতে। অবশ্যই উচ্চতা পারদ পতনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এছাড়া তার অবস্থানগত সুবিধা রয়েছে। এই তুষারপাত ছোট্ট এই গ্রামটিকে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত করে শীতের দিনগুলোয়।
বহু পর্যটক দক্ষিণ ভারতের এই তুষারপাতের অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করতে এখানে হাজির হন। সঙ্গে রয়েছে এখানকার অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সেই সঙ্গে রয়েছে এখানকার বিখ্যাত ঝর্ণা কথাপল্লি।
এছাড়াও পর্যটকদের জন্য আকর্ষণের অভাব নেই এই গ্রামে। প্রতিবছর নভেম্বর মাস থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এখানে পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। আর তা ওই দক্ষিণ ভারতের একমাত্র বরফে মোড়া জায়গা চাক্ষুষ করার টানে।













