নাটকীয়ভাবে পাকড়াও বাঙালি সাধুর বেশে থাকা বিদেশি
এদেশের বাসিন্দা নয়, তবে নাম ভাঁড়িয়ে সাধু সেজে ভারতে লুকিয়ে বসবাস করছিল এক ব্যক্তি। অবশেষে ৮ বছর পর ধরা পড়ল সে।
আইনি কাগজপত্র নেই। বিদেশি হিসাবে ভারতে থাকার জন্য যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে তাও নেই। পরিচয়পত্রগুলিও ভুয়ো। এই অবস্থায় সাধু সেজে ভারতে দিব্যি থাকছিল সে। নাম ভাঁড়িয়েছিল রাজীব দত্ত নামে। থাকছিল গয়ায়।
সেখানে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী সেজে বছরের পর বছর কাটাচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিসও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তার হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে নিজের জালে নিজেই জড়িয়ে পড়ল বাবু জো বড়ুয়া নামে বাংলাদেশি এক নাগরিক।
গয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ড উড়ে যেতে বিমান ধরতে সে বিমানবন্দরে হাজির হয়। সেখানে সন্দেহ হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আধিকারিকদের মনে হয় সে উত্তর দিতে গিয়ে একটু চঞ্চল হয়ে পড়ছে। অসংলগ্ন কথা বলছে।
সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। তার যাবতীয় কাগজপত্রও পরীক্ষা করা হয়। আর তখনই পরিস্কার হয়ে যায় ওই ব্যক্তি ভুয়ো সাধুর বেশে ভারতে এতদিন ধরে বসবাস করছে প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়াই।
সময় নষ্ট না করে তাকে পাকড়াও করা হয় বিমানবন্দর থেকেই। বাংলাদেশি নাগরিক হয়েও ভারতের পাসপোর্ট নিয়ে থাইল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সে। তার কাছ থেকে একাধিক পাসপোর্ট উদ্ধার হয়েছে।
নানা নামে পাসপোর্টগুলি রয়েছে। সেই সঙ্গে ভুয়ো আধার কার্ড, প্যান কার্ডও পাওয়া গেছে। এমনকি তার কাছ থেকে ভারতীয় মুদ্রায় ৩ হাজার ৮০০ টাকা ছাড়াও ১৫৬০ থাই ভাট, ৫ ইউরো, ৪১১ ডলার উদ্ধার হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা