National

পঞ্চম শ্রেণির বালকদের বিয়ে দিলেন প্রতিবেশিরা, কনেতেই আসল চমক

আকাশের দিকে চেয়ে যে বালকদের এই একবিংশ শতাব্দীতেও বিয়ে দেওয়া যেতে পারে তা বাস্তবে করে দেখালেন কিছু মানুষ। এটাই এখানকার প্রাচীন রীতি।

বিয়ের আয়োজনে খামতি ছিলনা। ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজন হয়েছিল। বিয়েতে আমন্ত্রিত ছিল গোটা গ্রাম। সকলেই এসেছিলেন উপহার নিয়ে। খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল এলাহি। সেখানে পঞ্চম শ্রেণির বালকদের আনা হয়েছিল। তাদেরই বিয়ে। তবে এক্ষেত্রে কনেতেই ছিল আসল চমক। তবে কনের চমকের আগে বলে রাখা ভাল যে কেন এমন ছোট ছোট ছেলেদের বিয়ের আয়োজন।

কর্ণাটকের চিক্কাবাল্লাপুর তালুকের হিরেকাট্টিগেহাল্লি গ্রামের বাসিন্দা থেকে শুরু করে এলাকার নানা গ্রামের মানুষের প্রাচীন বিশ্বাস যে যদি বৃষ্টির ঘাটতি হয় তাহলে বালকদের বিয়ে দিতে হবে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

বালকদের বিয়ে ডেকে আনবে ঝেঁপে বৃষ্টি। কৃষি প্রধান এই এলাকার মানুষ বিশ্বাস করেন মাঠ ভরা ফসলের জন্য যে বৃষ্টির প্রয়োজন তা না হলে বালকদের বিয়ে দিতে হয়।

সেই বিশ্বাস থেকেই অপর্যাপ্ত বৃষ্টিকে পর্যাপ্ত অবস্থায় আনতে বালকদের বিয়ে দেওয়ার আয়োজন হয়েছিল। সেই বিয়েতে কনেটাই চমক।

এখানে প্রাচীন নিয়ম হল বালকদের বিয়ে হয় বালকদের সঙ্গেই। অর্থাৎ বেশ কয়েকজন বালককে বর ও কয়েকজন বালককে কনের সাজে সাজানো হয়। তারপর তাদের রীতি প্রথা মেনে বিয়েও দেওয়া হয়।

তবে তা ওই একদিনের জন্য। তার পরদিন থেকে তারা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যায়। বিয়েটা ওই একদিনেই শুরু হয়ে শেষ হয়। ওই বিয়ের মানে কিন্তু বালকদের বিয়ে হয়ে গেছে এমনটা নয়। পরদিন থেকে তারা গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রই থেকে যায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *