National

শুধুমাত্র বাঁদরদের জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা রেস্তোরাঁ

এমন উদ্যোগের কথা এ দেশে আগে শোনা যায়নি। এটাই প্রথম। বাঁদরদের জন্য আলাদা রেস্তোরাঁ তৈরি করা হচ্ছে। খেতে যাতে সুবিধা হয় সেজন্য থাকবে টেবিলও।

মানুষের জন্য রেস্তোরাঁ তো সকলেই দেখেছেন। কিন্তু বাঁদরদের জন্য রেস্তোরাঁ কেউ দেখেছেন কি? উত্তর যে না হবে তা অনুমেয়। তবে এবার বাঁদরদের জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা রেস্তোরাঁ। সেখানে কেবল বাঁদরদেরই প্রবেশাধিকার থাকবে। তারাই সেখানে খাওয়াদাওয়া করতে পারবে।

এই অভিনব ভাবনার উদয় হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে একটি জায়গায় বাঁদরদের করুণ পরিণতি দেখে। মন্দির লাগোয়া রাস্তা। সে রাস্তা দিয়ে অহরহ যান চলাচল করছে।


এদিকে এই মন্দিরের চারধারে প্রচুর বাঁদরের বাস। তারা খাবারের খোঁজে প্রায়শই রাস্তায় ধারে চলে আসে। তারপর অজান্তেই গতিশীল গাড়ির ধাক্কা খেয়ে প্রাণ হারায় বা আহত হয়।

খাবারের খোঁজে এসে এমন করুণ পরিণতি স্বভাবতই মেনে নিতে পারেননি মন্দির কমিটির সদস্যেরা। তাঁরা স্থির করেছেন এই এলাকায় মন্দির সংলগ্ন একটি জায়গা ঘিরে সেখানে একটি স্থায়ী ঘর তৈরি করবেন।

কেরালার কাসারগোড়ে একটি মন্দিরের পাশে রাস্তার ধারেই তৈরি হচ্ছে এই ঘর। যেখানে টেবিল পাতা থাকবে রেস্তোরাঁর মত। ভক্তরা মন্দিরে পুজো দিয়ে এই স্থানে এসে বাঁদরদের জন্য খাবার রেখে যেতে পারবেন। বাঁদররা যখন মন চাইবে এসে সেই খাবার খেতে পারবে।

যে কেউ এখানে বাঁদরদের জন্য খাবার দিয়ে যেতে পারেন। এই ঘর পুরোপুরি বাঁদরদের জন্যই থাকবে। কার্যত বাঁদররা এখানে পেতে চলেছে তাদের নিজেদের রেস্তোরাঁ। যেখানে পেট ভরে খাবারের অসুবিধাও নেই, বিল মেটানোর দায়ও নেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button