National

রাস্তায় থুতু ফেললেই নাম হবে পিকু

রাস্তায় থুতু ফেলার অভ্যাস কিছু মানুষের থাকে। এবার তেমনটা করলে এই শহরে কিন্তু অন্য সমস্যা রয়েছে। জরিমানা তো হবেই, সেইসঙ্গে নাম হবে পিকু।

রাস্তায় থুতু ফেলার অভ্যাস এখনও কিছু মানুষের মধ্যে রয়েছে। অনেক জায়গায় প্রশাসনিক কড়াকড়ি না থাকায় তাঁরা এমনটা চালিয়েও যান। যা অন্যদের বিরক্ত করে।


আবার অনেকে সুলভ শৌচালয় থাকা সত্ত্বেও রাস্তার কোনও কোণায় প্রস্রাব করে থাকেন। এই প্রবণতা নির্মূল করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। যেমন এবার কঠোর হল নবাবের শহরের পুরসভা।

সেখানে রাস্তায় থুতু ফেলা বা যত্রতত্র প্রস্রাব করা, মলত্যাগ করা বন্ধ করতে নতুন পথ নিল লখনউ পুরসভা। সেখানে প্রথমে শহরবাসীকে সতর্ক করতে নানাভাবে প্রচারের রাস্তা নিল পুরসভা।



রাস্তায় ব্যানার বা হোর্ডিং লাগিয়ে মানুষকে সতর্ক করা। স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে সতর্ক করা। রেডিও সহ বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে সতর্ক করা। কোনও পথই বাদ থাকছে না। এরপরেও মানুষ সতর্ক না হলে তাঁদের জন্য এক অন্য শাস্তি অপেক্ষা করছে।

রাস্তায় কাউকে থুতু ফেলতে বা প্রস্রাব বা মলত্যাগ করতে দেখলে তাঁকে পাকড়াও করে প্রথমে জরিমানা করা হবে। আড়াইশো টাকা জরিমানা হবে তাঁর।

তবে জরিমানা একমাত্র শাস্তি নয়। জরিমানার পাশাপাশি তাঁর নতুন নামকরণও হবে। তাঁর নাম দেওয়া হবে হয় ‘মিস্টার পিকু’ অথবা ‘মিসেস পিকু’ অথবা ‘মিস পিকু’। এটা জরিমানার চেয়েও লজ্জার হচ্ছে এমন কাজ করা মানুষজনের জন্য।

জরিমানা গুনে পার পাওয়া নয়, বয়ে বেড়াতে হবে একটি নাম। যা অন্যদের বোঝাবে যে এই মানুষটি কোনও সময় রাস্তায় থুতু ফেলা বা প্রস্রাব অথবা মলত্যাগ করে ধরা পড়েছিলেন। এটা জরিমানার চেয়েও অনেক বেশি অসম্মানের হবে। আর সেখানেই লুকিয়ে আছে এই উদ্যোগের সাফল্য। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button