National

বৃদ্ধা স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে আদালতে ৭৫ বছরের বৃদ্ধ

তাঁর বৃদ্ধা স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে এবার আদালতে পৌঁছলেন ৭৫ বছরের এক বৃদ্ধ। একরাশ অভিযোগ রয়েছে তাঁর। যদিও বিষয়টির যবনিকা পতন হয়েছে অন্যরকমভাবে।

বৃদ্ধের বয়স এখন ৭৫ বছর। তাঁর স্ত্রীর বয়স ৭০ বছর। ৩৫ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটানোর পর জীবনের শেষপ্রান্তে পৌঁছে এখন বৃদ্ধের মনে হয়েছে তিনি তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন না। তাঁকে ডিভোর্স দেবেন।

তাঁদের ৩ মেয়ে রয়েছে। গণ্ডগোলের সূত্রপাত তাঁদের নিয়েই। বৃদ্ধ তাঁর ৩ মেয়ের বিয়ে নিয়ে তেমন উৎসাহী না হলেও ৩ মেয়ে কিন্তু তাঁদের জীবন সঙ্গী খুঁজে নেন। তারপর বাবার অমতেই তাঁরা একে একে বিয়ে করে ফেলেন পছন্দের মানুষকে।

এখন ৩ মেয়েই বিবাহিত জীবনযাপন করছেন। কিন্তু তাঁদের এই পদক্ষেপ একেবারেই মেনে নিতে পারেননি ওই বৃদ্ধ। ফলে মেয়েদের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক রাখেন না।

শুধু তাই নয়, মেয়েরা তাঁকে অবজ্ঞা করে পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করার সাহস পেয়েছেন তাঁদের মায়ের কাছ থেকে বলে মনে করেন ওই বৃদ্ধ। ফলে বৃদ্ধ তাঁর স্ত্রীর ওপর ভয়ংকর ক্ষুব্ধ।

বৃদ্ধ স্থির করেন স্ত্রীর সঙ্গেও তিনি থাকবেন না। তিনি ডিভোর্স দেবেন স্ত্রীকে। আর সেই ইচ্ছা চরিতার্থ করতে লোক আদালতে আবেদনও করে দেন তিনি।

কর্ণাটকের মাইসুরুর বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের আবেদন লোক আদালতের বিচারক খতিয়ে দেখার পর তিনি বৃদ্ধকে এবং তাঁর স্ত্রীকে ডেকে পাঠান। তারপর বৃদ্ধকে বোঝান যে এই বয়সে পৌঁছে আর তাঁর স্ত্রীর প্রতি কোনও তিক্ত মনোভাব রাখা ঠিক নয়।

অনেক বোঝানোর পর বৃদ্ধ বোঝেনও। বৃদ্ধ তাঁর ডিভোর্সের আবেদন প্রত্যাহারও করে নেন। তারপর বৃদ্ধা স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *