National

তদন্তের প্রয়োজনে তোতাপাখিকেও জেরা করল পুলিশ

তদন্তের প্রয়োজনে পুলিশ কোনও চেষ্টাই বাদ রাখে না। তার এক বড় উদাহরণ সামনে এল। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে এবার এক তোতাপাখিকেও জেরা করতে পিছপা হল না পুলিশ।

পুলিশ যখন মঙ্গলবার রাতে বাড়িটায় প্রবেশ করল ততক্ষণে যে পালানোর সে পালিয়ে গেছে। বাড়িতে ঢুকে তন্নতন্ন করে খুঁজেও যাকে পাকড়াও করতে আসা তার খোঁজ না পেয়ে সামনে যাঁকেই পান তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

সেই সময় তাঁদের নজর পড়ে খাঁচায় রাখা ১টি তোতাপাখির দিকে। তোতাপাখিরা যে সুন্দর কথা বলতে পারে তা সকলের জানা। পুলিশের মনে হয় সকলকেই তো জিজ্ঞাসাবাদ হল, তা তোতাপাখিটাই বা বাদ যায় কেন? যদি সে বলতে পারে তার মনিব কোথায় পালিয়েছে বা কোথায় লুকিয়ে আছে। অথবা একটা ইঙ্গিত অন্তত দিতে পারে।

একথা মাথায় আসতে বিহারের গয়ার গুরুয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর কানহাইয়া কুমার স্থানীয় ভাষায় তোতাপাখির সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, এ মিঠ্ঠু, তোহার মালিক কাঁহা গেলো, তোহার মালিক ছোড়কে ভাগ গেলো। এর উত্তরে তোতাপাখি কেবল ১টি কথাই বারবার বলতে থাকে, কাটোরে, কাটোরে, কাটোরে।

পুলিশের জিজ্ঞাসা ছিল তোতাপাখি তোমার মালিক কোথায় গেল, তোমায় ফেলে পালিয়ে গেল। তার উত্তর ছিল কাটোরে অর্থাৎ বাটির মত পাত্র।

এক মদ মাফিয়াকে পাকড়াও করতেই পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছিল। ওই মাফিয়ার বাড়িতে যখন পুলিশ হানা দেয় তখন সে পালিয়ে গিয়েছে। ফলে তার পোষা তোতাপাখির থেকে জানার একটা চেষ্টা করে দেখে পুলিশ।

তবে তোতাপাখির থেকে কোনও সদুত্তর বা ইঙ্গিত পায়নি পুলিশ। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তে অনেকেই মজা করে বলছেন, তোতাপাখিটি তার মালিকের অনুগত। ফলে সে তার মালিক কোথায় লুকিয়ে আছে তা কিছুতেই বলবে না। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *