National

আওয়াজ চিনতে ভুল করে ভয়ে নদীতে লাফ দিল ২ মদ পাচারকারী

একে রাতের অন্ধকার। তায় আবার টানা আওয়াজ। তাতেই ভয় পেয়ে যায় ২ মদ পাচারকারী। ভয়ে নদীর জলে লাফ দেয় তারা।

রাতের অন্ধকারে বাইক ছুটছিল ২ ব্যক্তিকে নিয়ে। এদের সঙ্গে ছিল বেআইনি মদ। রাস্তায় যেতে যেতে এক সময় তারা পিছন থেকে একটি শব্দ পায়। বেআইনি কাজ যারা করে এই শব্দ তাদের কাছে আতঙ্কের আর এক নাম। আওয়াজটা ছিল সাইরেনের।


২ ব্যক্তি মনে করে তাদের খবর নিশ্চয়ই পুলিশ পেয়েছে। তাই সাইরেন বাজিয়ে পুলিশের গাড়ি তাদের ধাওয়া করেছে। ফলে গতি বাড়ায় তারা। কিন্তু যতই তারা গতি বাড়াক না কেন আওয়াজটা তাদের পিছু ছাড়ছে না।

এবার আতঙ্ক পেয়ে বসতে থাকে তাদের। এভাবে ধাওয়া করতে থাকলে তো একসময় তারা ধরা পড়বেই। কতক্ষণ বাইকে করে পুলিশের গাড়ির নাগাল থেকে দূরে থাকা সম্ভব! একসময় প্রায় হাল ছেড়ে দেয় তারা।



স্থির করে আর বাইক ছোটানো নয়, তারা পালাবে পুলিশের নাগাল থেকে। রাতের অন্ধকারেই তারা নদীর ধারে বাইক থামিয়ে ব্রিজ থেকে নদীতে লাফ দেয়।

নদীতে পড়ার পরই মৃত্যু হয় ১ জনের। অন্যজনকে আহত অবস্থায় বারাণসীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারও মৃত্যু হয়। এরা বেআইনি মদ পাচারকারী ছিল বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের রোহতাস জেলায়। ধর্মাবতী নদীতে লাফ দেয় উত্তরপ্রদেশের চান্দাউলি জেলার এই ২ ব্যক্তি। যারা জানতেও পারল না যে ভয়ে তারা নদীতে লাফ দিল তা আসলে পুলিশের গাড়িই ছিলনা। ছিল অ্যাম্বুলেন্স।

ফাঁকা রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সও গতি বাড়িয়ে তাদের পিছু পিছু আসছিল। অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের আওয়াজকে ২ জন পুলিশের গাড়ির সাইরেন ভেবে ভুল করে নদীতে লাফ দিল। প্রসঙ্গত বিহারে মদ্যপান আইনত নিষিদ্ধ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button