National

বিয়ের পর প্রথম রাত কেটে ভোর হতেই স্বামী দেখলেন সিনেমা সত্যি হয়ে গেছে

এমন কিছু যে দেখতে হবে তার জন্য বোধহয় তৈরি ছিলেননা সবে বিয়ে করে স্ত্রী নিয়ে আগের দিন বাড়ি ফেরা যুবক।

সিনেমা সিনেমাই হয়। কল্পনার মিশেলে তাকে মানুষের মনের মত করে তোলার চেষ্টা হয়। কিন্তু সেই সিনেমার প্রতিটি ফ্রেম যদি মিলে যায় বাস্তবের সঙ্গে তাহলে অবাক হয়ে যাওয়ার মতই মনে হয়। এক্ষেত্রেও ঠিক তাই হল।


বিয়ে করে আগের দিনই স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। বিয়ের ধকলে ক্লান্তিও ছিল। বাড়িতে ফিরেও অনেকগুলি আচার অনুষ্ঠান ছিল। সেসব মিটিয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন সদ্যবিবাহিত স্বামীস্ত্রী। সকালে উঠে দেখলেন স্ত্রী আর নেই।

ঘটনার সূত্রপাত গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষে। কানপুরের জাদেপুর গ্রামের বাসিন্দা অরবিন্দ ২ ঘটককে একজন পাত্রী খুঁজে দিতে বলেন। ঘটকরা তাঁকে জানায় তারা পাত্রী খুঁজে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা সব করে দেবে। এজন্য ৭০ হাজার টাকা লাগবে।



অরবিন্দ টাকা দিতে রাজি হয়ে যান। ওই ২ ব্যক্তি তখন অরবিন্দকে বিহারের গয়ায় নিয়ে আসে। সেখানে রুচি নামে এক তরুণীর ছবি দেখায় অরবিন্দকে। পাত্রী পছন্দ হয় অরবিন্দের।

ওই ২ ঘটক দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করে ফেলে। গত পয়লা অক্টোবর সকালে একটি স্থানীয় মন্দিরে রুচি নামে ওই তরুণীর সঙ্গে অরবিন্দের বিয়ে হয়ে যায়। এরপর স্ত্রীকে সঙ্গে করে অরবিন্দ তাঁর নিজের গ্রামে ফিরে আসেন।

বাড়িতে ফেরার পর আত্মীয়পরিজন মিলে কিছু আচার অনুষ্ঠান পালন করেন। অরবিন্দের পরিবারের তরফ থেকে রুচিকে গয়না, শাড়ি ও নানা উপহারে বাড়ির বউ হিসাবে বরণ করে নেওয়া হয়।

সেদিন রাতে অরবিন্দ ও রুচি শুতে যান। পরদিন সকালে অরবিন্দ ঘুম ভেঙে দেখেন রুচি নেই। সব গয়না, নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং শাড়ি ও উপহার পাওয়া জিনিসপত্র, সব উধাও। এরপরই অরবিন্দের ফোনে একটি ফোন আসে।

ওপার থেকে রুচি কড়া গলায় জানায় সে অরবিন্দকে ভালবাসে না। তাকে যেন অরবিন্দ খোঁজার বা যোগাযোগ করার চেষ্টা না করেন। এরপর বেশ কিছুদিন অরবিন্দ এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি। অবশেষে অরবিন্দ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button