National

৪টি সবজি, একটি গাছ, বাড়িতেই ফলবে এক গাছে টমেটো, বেগুন, আলু, লঙ্কা

এও এক চমৎকার ছাড়া আর কিছু নয়। এখন একটি গাছ লাগালেই পাওয়া যাবে ৪টি সবজি। এক গাছেই ফলছে টমেটো, বেগুন, লঙ্কা এবং আলু।

রান্নাঘরে প্রায় আবশ্যিক আলু, টমেটো, কাঁচা লঙ্কা। সঙ্গে বেগুনটাও থাকলে তো ভালই। এসব আলাদা আলাদা গাছে হয়। কিন্তু যদি এই ৪ সবজি একটি গাছেই ফলে তাহলে নিশ্চয়ই কারও আপত্তি থাকতে পারেনা!

অনেকেই একে অসম্ভব বলে উড়িয়ে দেবেন। এটা ঠিক এমন কাণ্ড বিশ্বাস করা কঠিন। কিন্তু এটাই বাস্তবে হচ্ছে। একটি মাত্র গাছেই একটা ডালে ঝুলছে টমেটো তো অন্য ডালে বেগুন, তো অন্য ডালে কাঁচা লঙ্কা। আবার এই গাছেরই গোড়ায় পাওয়া যাচ্ছে আলু। এমন অসম্ভব কিন্তু আগামী দিনের স্বাভাবিক চাষাবাদের রূপ নিতে চলেছে।

বারাণসীর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ভেজিটেবল রিসার্চ-এর বিজ্ঞানীরা এমনই এক অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়ে দিয়েছেন। প্রথমে তাঁরা একটি গাছে আলু আর টমেটো একসঙ্গে ফলাচ্ছিলেন। গাছের নাম দিয়েছিলেন পমেটো।

এরপর সেই গাছেই বেগুন ফলান তাঁরা। বদলে যায় গাছের নাম। নতুন নাম হয় ব্রিমেটো। ওই গাছেই এবার কাঁচা লঙ্কাও ফলাতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। ফলে এখন এক গাছেই ফলছে আলু, টমেটো, বেগুন এবং কাঁচা লঙ্কা!

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এই গাছ তৈরি করতে গবেষণায় তাঁদের ৫ বছর লেগেছে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল একটি বড় টবেই এই গাছ হতে পারে। ফলে বাড়িতেই যে কেউ চাইলে এই গাছ লাগাতে পারেন।

একটি গাছ ৬০০ গ্রাম আলু, ২ কেজি টমেটো সহ বেশ কয়েকটি বেগুন ও কাঁচা লঙ্কার জন্ম দিতে পারে। ২২ দিন লাগবে টমেটো বড় হতে। আর ২৫ দিন লাগবে বেগুন বড় হতে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *