গরমের জেরে মুশকিল হয়েছে বাথরুমে ঢোকা, দেখে শুতে হচ্ছে বিছানার তলা
একে তো গরমের চোটে প্রাণ বার হচ্ছে। তার ওপর এখন বাথরুম যাওয়ার হলে চিন্তায় পড়ে যাচ্ছেন শহরের মানুষজন। বিছানায় ঘুমতে গেলেও তলাটা দেখে নিচ্ছেন সকলে।
প্রাণান্তকর গরম কমে পশ্চিমবঙ্গে এখন বেশ মনোরম হয়েছে আবহাওয়া। অবশ্যই তা সম্ভব হয়েছে অশনির কারণে। তবে এই উপভোগ ক্ষণস্থায়ী। অশনির রেশ কেটে গেলে ফের পারদ চড়বে। তবু কটা দিনের রেহাই তো মিলল।
এটাও তো পশ্চিম ভারত বা উত্তর ভারতের অনেক জায়গার মানুষের কপালে জোটেনি। তাঁরা টানা অসহ্য গরম সহ্য করেই দিন কাটিয়ে চলেছেন।
একে তো গরমে প্রাণ যায় পরিস্থিতি। তারমধ্যে যোগ হয়েছে আরও এক চিন্তা। এখন ঘরে চলতে হচ্ছে অতি সন্তর্পণে। চারিদিকে নজর রাখতে হচ্ছে। সমস্যা হয়েছে বাথরুমে যাওয়ার হলে।
আগে বাথরুমে ঢুকে গোটা বাথরুম ভাল করে দেখে নিতে হচ্ছে। একইভাবে শুতে গেলেও বিছানার তলা দেখে ঘুমোতে হচ্ছে। সহজ কথায় ঘরের যেখানেই একটু ঠান্ডা সেখানেই কড়া নজর রাখতে হচ্ছে। নাহলেই সমূহ বিপদ!
আগ্রা শহরের মানুষের এখন প্রতিদিনের কাজ হিসাবে যুক্ত হয়েছে ঘরের সর্বত্র নজর রাখা। কারণও রয়েছে। দাপুটে গরমে যেমন মানুষের প্রাণান্তকর পরিস্থিতি, তেমনই হয়েছে সাপখোপদের।
সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণিরা এখন তাদের স্বাভাবিক বাস ছেড়ে একটু ঠান্ডার আশায় আগ্রা শহরের ঘরে ঘরে ঢুকে পড়ছে। বাথরুম ঠান্ডা থাকে বলে সেখানে বিষাক্ত সব সাপেরাও আশ্রয় নিচ্ছে। আবার বিছানার তলা বা কোনও ছায়া থাকা কোণায় গিয়ে গুঁজে বসে থাকছে।
একের পর এক বাড়ি থেকে এখন ফোন যাচ্ছে ওয়াইল্ডলাইফ এসওএস সংস্থার কাছে। ফোন পেলেই তাদের বিশেষজ্ঞেরা হাজির হচ্ছেন সেই বাড়িতে। তারপর পাকড়াও করছেন সরীসৃপকে।
এর মধ্যে যেমন বিষাক্ত কোবরা রয়েছে তেমনই রয়েছে ব়্যাট স্নেক থেকে গোসাপ। এগুলিকে পাকড়াও করে তাদের নিয়ে গিয়ে যত্নে ফের ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে প্রকৃতির মাঝে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা