National

মাত্র ৩ মাসে দেশের আদি ভাষা রপ্ত করলেন সাড়ে ৬ হাজার মানুষ

মাত্র ৩ মাসের মধ্যে একটা ভাষাকে রপ্ত করা মুখের কথা নয়। কিন্তু সেটাই হল। দেশের আদি ভাষা শিখে নিলেন সাড়ে ৬ হাজার মানুষ।

মাত্র ৩ মাস আগেও তাঁদের জানা ছিলনা দেশের আদি ভাষার একটি বর্ণও। আর ৩ মাস পর এখন তাঁরা আদি ভাষা সংস্কৃতে কথা বলতে পারেন। লিখতে পারেন। শুনে বুঝতেও পারেন সংস্কৃতে কি তাঁদের বলা হচ্ছে। এমনভাবেই তৈরি করা হয়েছে কোর্স।


বলা ভাল ক্র্যাশ কোর্স। আর সেই কোর্সে প্রতিদিনই বাড়ছে সংস্কৃত শেখায় উৎসাহী মানুষের সংখ্যা। মিসড কল পদ্ধতিতে চলছে নাম নথিভুক্তিকরণ। তারপর নথিভুক্তদের অনলাইনে ক্লাস করানো হচ্ছে।

সংস্কৃত শেখানোর জন্য কোথাও বসছে না ক্লাসরুম। ১৩২টি অনলাইন ক্লাস করানো হচ্ছে। তাতেই শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে সংস্কৃত ভাষা।


এখানে মনে হতেই পারে যে সংস্কৃত শিখতে গিয়ে কত টাকা খরচা করতে হবে? উত্তর হল একটি পয়সাও নয়। কেবল ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই হল। শেখার জন্য ইচ্ছেটুকুই যথেষ্ট। নাম নথিভুক্ত করানো যথেষ্ট। বাকিটা দায়িত্ব নিয়ে বন্দোবস্ত করছে যোগী সরকার।

উত্তরপ্রদেশে সংস্কৃত ভাষার চর্চা বাড়াতে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের এই উদ্যোগে ইতিমধ্যেই সাড়া মিলতে শুরু করেছে। অনেকেই নাম নথিভুক্ত করছেন।

এখনও পর্যন্ত ১৭ হাজার ৪৮০ জন নাম লিখিয়েছেন। তার মধ্যে ৩ মাসেই ৬ হাজার ৪৩৪ জন সংস্কৃত ভাষা রপ্ত করে ফেলেছেন। তাঁরা কোর্সের ১৩২টি ক্লাস পূরণ করে ফেলেছেন।

উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যে দেশের আদি ভাষা সংস্কৃতের চর্চা বাড়ানোয় যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে সাড়া দিচ্ছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ। অনেকেই বিনামূল্যে সংস্কৃত ভাষা শিক্ষার বিষয়টিকে গ্রহণ করেছেন।

এই সুযোগে মাত্র ৩ মাসে যদি সংস্কৃতের মত ভাষায় রপ্ত হওয়া যায়, তাও আবার একটি টাকাও খরচ না করে, তাহলে সে সুযোগ ছাড়তে স্বভাবতই অনেকে রাজি নন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button