National

১৩০ দিন করোনার বিরুদ্ধে লড়ে জিতলেন যুবক

এভাবেও ফিরে আসা যায়। দেখিয়ে দিলেন এক যুবক। করোনার সঙ্গে দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে গেছেন ১৩০ দিন। অবশেষে এসেছে জয়।

এই ১৩০টা দিন তিনি জীবনে হয়তো কখনও ভুলতে পারবেননা। এই ১৩০টা দিনে কি না হয়েছে! প্রতিদিন আশপাশে মানুষকে করোনায় মারা যেতে দেখেছেন। প্রতি মুহুর্তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষে গেছেন। ১ মাস ভেন্টিলেটরেই কেটেছে তাঁর। তারপরও রেহাই নেই।

টানা থাকতে হয়েছে অক্সিজেনের ভরসায়। মুখ থেকে অক্সিজেন মাস্ক কখনও খোলা যায়নি। খুললেই পড়তে থেকেছে স্যাচুরেশন। তারপরও লড়াইটা লড়ে গেছেন তিনি।

পাশে পেয়েছেন চিকিৎসকদের। যাঁরা যখনই এসেছেন, তখনই তাঁকে লড়ে জেতার জন্য উৎসাহ যুগিয়েছেন। মনের জোর দিয়েছেন। ভরসা দিয়েছেন।

বাকিটা ছিল একার লড়াই। অবশেষে ১৩০ দিন করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছেন বিশ্বাস সাইনি। হারিয়ে দিয়েছেন করোনাকে।

টানা অক্সিজেন মাস্ক পরে থাকায় তাঁর মুখ জুড়ে দাগ পড়ে গেছে। সাইনি অবশ্য খুব খুশি পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়ে।

উত্তরপ্রদেশের মেরঠের বাসিন্দা বিশ্বাস সাইনি গত ২৮ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন। প্রথমে তিনি বাড়িতেই ছিলেন। পরে তাঁর পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

সেই থেকে গত বুধবার পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গেছেন তিনি। এখন করোনা সেরেছে। বাড়িও ফিরেছেন। তবে এখনও বেশ কিছুদিন দিনে কয়েক ঘণ্টা তাঁকে বাড়িতেই অক্সিজেনের ভরসায় থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

যদিও আশঙ্কার মেঘ কেটে গেছে। ১৩০ দিনের লড়াই জিতে মৃত্যুর মুখ থেকে বাড়িতে ফিরে এলেন বিশ্বাস সাইনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button