National

বাঙালি প্রত্নতাত্ত্বিকদের অনন্য কীর্তি, জুরাসিক যুগের হাঙরের ফসিল উদ্ধার

এক অনন্য আবিষ্কারের কীর্তি গড়ে নয়া ইতিহাস লিখলেন ২ বাঙালি প্রত্নতাত্ত্বিক। যাঁদের হাত ধরে মরুভূমিতে মিলল জুরাসিক সময়ের হাঙরের জীবাশ্ম।

‘স্ট্রোফোডাসজয়সলমীরেনসিস’, এটাই নাম দিয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। না পুরো দেহ পাওয়া যায়নি। পাওয়া গিয়েছে কেবল দাঁত। আর সেই দাঁত বলছে এই ধরনের হাঙর জুরাসিক যুগের প্রথম পর্যায়ে এসেছিল।


তখন হাইবোডন্ট হাঙর ঘুরে বেড়াত জলে। সেই হাঙর পরিবারের একটি নয়া ধরণ ছিল এই দাঁত বিশিষ্ট হাঙর। যে হাঙরের দাঁত মিলেছে রাজস্থানের জয়সলমীরে।

National News
জয়সলমীর থেকে উদ্ধার হওয়া জীবাশ্ম, ছবি – আইএএনএস

মরুরাজ্যের এই অংশে রয়েছে জুরাসিক যুগের পাথর। সেখানেই খোঁজ চালাচ্ছিলেন জিএসআই-এর ৪ প্রত্নতাত্ত্বিক ত্রিপর্ণা ঘোষ, দেবাশিস ভট্টাচার্য, কৃষ্ণ কুমার ও প্রজ্ঞা পাণ্ডে। এঁরাই খোঁজ পান এই হাঙরের দাঁতের জীবাশ্মের।



তারপর তা পরীক্ষা করতেই তাঁরা বুঝতে পারেন কত বড় আবিষ্কার তাঁরা করে ফেলেছেন। যা কার্যত জুরাসিক সময়ের হাঙর এবং তাদের বাসস্থান সম্বন্ধে এক নতুন ধারনা তৈরি করে দিল।

বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, সমুদ্রের স্বচ্ছ জলে বাস ছিল এই হাঙরের। যারা পৃথিবীতে এসেছিল জুরাসিক যুগের একদম প্রথম পর্যায়ে। সেটা ছিল আজ থেকে ১৬০ থেকে ১৬৮ মিলিয়ন বছর আগের কথা। তারপর তারা টিকে ছিল দীর্ঘ সময়।

যদিও জুরাসিক যুগের মধ্যভাগ থেকেই এই হাইবোডন্ট হাঙর শেষ হতে থাকে। অবশেষে ক্রেটেসিয়াস যুগে এসে এই হাঙর পৃথিবীর বুক থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। সেটাও ছিল আজ থেকে ৬৫ মিলিয়ন বছর আগে।

তারপর যেটা থেকে যায় তা হল এই হাঙরদের কিছু জীবাশ্ম। যা পাওয়া গেল জয়সলমীর থেকে। আর সেই আবিষ্কারের কৃতিত্বে আমর হয়ে রইল ২ বাঙালি প্রত্নতাত্ত্বিকের নাম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button