National

ঘর ছেড়ে গ্রামবাসীরা পালালেন ক্ষেতে, আধার টিকায় কাটল আঁধার

যাকে বলে হুলস্থূল কাণ্ড। আধার টিকা নিয়ে নিল। আর গ্রামবাসীরা কিনা পালালেন টিকা নেবেন না বলে। ক্ষেতে গিয়ে লোকালেন অনেকে।

টিকা তো দিতে আসেনি! যেন গ্রামে ডাকাত পড়েছে! এমনভাবেই যে যেদিকে পারলেন ছুট লাগালেন। যাতে তাঁদের কেউ দেখতে না পায়। এ যেন টিকা নয়, দেখতে পেলে প্রাণ নেবেন সরকারি আধিকারিকরা।

কেউ আবার অন্য কোথাও পালানোর পথ না পেয়ে সদর দরজায় তালা ঝুলিয়ে ঘরে দুরুদুরু বুকে বসে রইলেন পরিবার নিয়ে। যাতে তিনি বাড়িতে নেই বলে ভাবেন টিকাকর্মীরা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই পালালেন ক্ষেতে। সেখানে ফসলের আড়ালে মুখ লোকালেন তাঁরা। দেখতে পেলেই টিকা। আর সেখানেই আপত্তি তাঁদের। টিকা তাঁরা কিছুতেই নেবেন না।

সরকারি আধিকারিকরা যদি জোর করে টিকা দিয়ে দেন! কোনও আপত্তি না শোনেন! তাই লুকিয়ে পড়াই ভাল বলে ছুট দিলেন তাঁরা। এদিকে গোটা গ্রাম যখন পালাচ্ছে তখন আধার এগিয়ে এলেন সামান্য সংকোচ না রেখেই।

উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জ জেলার নাগলা কাধেরি গ্রামের মানুষকে টিকা দিতে সেখানে টিকাকর্মীদের নিয়ে হাজির হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। এঁদের দেখা মাত্র যে যেদিকে পারলেন ছুট লাগালেন। কিন্তু এগিয়ে এলেন ৯৬ বছরের আধার কুমারী।

নিজে তো টিকা নিলেনই, সেইসঙ্গে গ্রামের সকলকে উৎসাহ দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে তিনি যদি টিকা নিতে পারেন, তাহলে গ্রামের অন্যরা তো তাঁর চেয়ে বয়সে ছোট। তাঁদের টিকা নিতে এত আপত্তি কিসের!

আধার কুমারীর এই বক্তব্যে কিন্তু ম্যাজিকের মত কাজ হয়। কার্যত তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে যাঁরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছিলেন সকলে হাজির হন একে একে। বাড়িতে খিল দেওয়া মানুষজনও বেরিয়ে আসেন। গ্রামের ১৮ বছরের ওপরের বয়সের ১৭৬ জন বাসিন্দা এক এক করে টিকা গ্রহণ করেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More