National

বৌমাকে সংক্রমিত করতে জড়িয়ে ধরলেন শাশুড়ি

তাঁর করোনা হয়েছে। অথচ বৌমার হয়নি। এটা মেনে নিতে পারলেন না এক মহিলা। অভিযোগ বৌমাকেও সংক্রমিত করতে তাঁকে জোর করে জড়িয়ে ধরলেন শাশুড়ি।

তাঁর করোনা ধরা পড়ার পর থেকে তিনি বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন। করোনায় হোম আইসোলেশনের ক্ষেত্রে এটাই নিয়ম। ফলে তাঁকে আলাদাই থাকতে হচ্ছে।

বাড়ির অন্য সদস্যরা তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছেন। তাঁকে সবাই এড়িয়ে, তাঁর থেকে দূরত্ব রেখে চলছেন সকলে। অথচ বৌমা নিশ্চিন্তে সকলের সঙ্গে থাকছেন, মিশছেন এটা মেনে নিতে পারেননি করোনা সংক্রমণের শিকার এক মহিলা।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

তাঁর যখন করোনা হয়েছে তখন তাঁর বৌমাই বা ছাড় পাবেন কেন? এমনই ভাবনা নিয়ে এবার জোর করে বৌমাকে জড়িয়ে ধরলেন শাশুড়ি।

না, কোনও আনন্দ বা খুশিতে নয়। করোনা সংক্রমিত হওয়ায় যাতে তাঁর থেকে তাঁর বৌমাও সংক্রমণের শিকার হন সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এমনটা করেন তিনি। অন্তত ওই মহিলার বৌমা তেমনই অভিযোগ করেছেন।

ওই তরুণী গৃহবধূর দাবি, তাঁর করোনা আক্রান্ত শাশুড়ি তাঁকে জড়িয়ে ধরে এটাও বলেন যে তিনিই বা ছাড় পাবেন কেন? ওই মহিলা এও নাকি বলেন যে তিনি মারা গেলে বৌমাও আনন্দে থাকতে পারবেন না।

ওই তরুণীর দাবি, তাঁর শাশুড়ি তাঁকে তো করোনা সংক্রমিত করার চেষ্টা করছেনই, সেইসঙ্গে ছাড় দিচ্ছেন না তাঁর নাতি-নাতনিদেরও। এই ঘটনার পর প্রতিবেশিদেরও পাশে পেয়েছেন ওই তরুণী গৃহবধূ।

ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার নেলিমিগুট্টা থান্ডা নামে এলাকায়। এখানেই ৪ বছর আগে বিয়ে হয় ওই তরুণীর। তাঁর স্বামী ওড়িশায় ট্র্যাক্টর চালকের কাজ করেন।

ওই তরুণী তাঁর ২ সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। স্বামী ওড়িশা থেকে মাঝেমাঝে আসেন বাড়িতে। বাড়িতে থাকেন তিনি, তাঁর শাশুড়ি ও ২ সন্তান।

হালে ওই তরুণীর শাশুড়ির করোনা ধরা পড়ে। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শেই তিনি বাড়িতে থাকলেও বাড়ির অন্য সদস্যদের ওই মহিলার সঙ্গে দূরত্ব রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। যা এখন করোনাবিধির মধ্যেই পড়ছে।

কিন্তু বৌমা নিশ্চিন্তে ঘুরবেন, আর তিনি করোনা নিয়ে ঘরে আলাদা থাকবেন এটা মেনে নিতে পারেননি শাশুড়ি। শাশুড়ির এই প্রবণতা দেখার পর ওই গৃহবধূ তাঁর ২ সন্তানকে নিয়ে বোনের বাড়িতে চলে গেছেন।

পাড়া প্রতিবেশিরা প্রশাসনিক কর্তাদের ওই গৃহবধূর শাশুড়ির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More