National

লকডাউনের জেরে কর্মহীন, শেষ হয়ে গেল একটি পরিবার

করোনার প্রথম ঢেউয়ে লকডাউন কেড়ে নিয়েছিল বহু মানুষের রুটি রুজি। সে সময় অনেকের সঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। তারই চরম পরিণতি দেখল দেশ।

লকডাউন হাজার হাজার মানুষকে দেশে কর্মহীন করে তোলে। সেই তালিকায় থাকা ৩৮ বছরের ওই ব্যক্তির পরিবার বলতে ছিল স্ত্রী ও ১৪ মাসের শিশু পুত্র। সুখী সংসার।

লকডাউন যখন শুরু হয় তখন সবে জন্ম হয়েছে তাঁর শিশুপুত্রের। সেই সময়ই শুরু হয় লকডাউন। সন্তানের জন্মের সুখ নিয়ে তিনি আনন্দ করবেন নাকি কাজ হারানোর বেদনায় কষ্ট পাবেন তা তখন বুঝে উঠতে পারেননি। কেবল স্থির করেছিলেন লড়াই করে লকডাউন কাটলে একটা কাজ ঠিক জুটিয়ে নেবেন।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

কাজ কিন্তু জোটেনি। মাসের পর মাস যেটুকু জমানো পুঁজি ছিল তাও শেষ হতে থাকে। নিঃস্ব হতে থাকে পরিবার। আর শিশুপুত্র একটু একটু করে বড় হতে থাকে নিঃস্ব পিতামাতার সংসারে।

মহারাষ্ট্রের সোলাপুরের বাসিন্দা ওই পরিবার কয়েক মাস আগে রোজগারের আশায় চলে আসে পুনের কাছে কদমাক নামে জায়গায়। সেখানে একটি চওল ভাড়া করে থাকছিল পরিবার।

৩৮ বছরের হনুমন্ত শিণ্ডে এদিক ওদিক টুকটাক কাজ করে কিছু রোজগার করে কোনও মতে চালিয়ে নিচ্ছিলেন পরিবার। কিন্তু সেই রোজগারও পুরো বন্ধ হয়ে যায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল মহারাষ্ট্রে। যেখানে লকডাউন ঘোষণা হয়েছে কিছুদিন আগে। বন্ধ হয়ে যায় সামান্য রোজগারও।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান তারপরেই গত রবিবার চরম অর্থাভাবের কারণে প্রথমে স্ত্রী ও পরে ১৪ মাসের সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন হনুমন্ত।

তারপর স্ত্রীয়ের একটি দোপাট্টা নিয়ে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। ৩টি দেহই উদ্ধার করেছে পুলিশ। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More