National

বাঁদরদের হাত থেকে রেহাই পেতে এবার অন্য দাওয়াই

বাঁদরদের উপদ্রব এতটাই বেড়েছে যে বিষয়টি আলোচ্য হয়ে উঠেছে বিধানসভাতেও। বাঁদরদের হাত থেকে রেহাই পেতে এবার একদম অন্য রাস্তায় হাঁটতে চলেছে সরকার।

বেঙ্গালুরু : পরিস্থিতি ক্রমেই যেন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। বাঁদরদের দৌরাত্ম্যে জেরবার মানুষজন। ল্যাজ উঁচিয়ে দল বেঁধে চাষ জমিতে ঢুকে ফসল নষ্ট করছে তারা। কর্ণাটকের মালনাড অঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ে তাই ঘুম উড়েছে প্রশাসনেরও। দেড় বছর আগে প্রস্তাবিত হয়েছিল শিবমোগ্গা জেলায় সাগরের কাছে একটি ‘মাঙ্কি পার্ক’ হবে। কিন্তু এখনও তার কোনও চিহ্নই দেখা যায়নি।

বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে এক বিজেপি বিধায়ক আরাগা জ্ঞানেন্দ্র প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরই সরকারের বিরুদ্ধে। কার্যত তাঁর প্রশ্নের মুখে পড়ে কর্ণাটকের শিল্পমন্ত্রী জানান বাঁদরদের হাত থেকে রেহাই পেতে এবার সরকার হিমাচল প্রদেশের মডেলকে কাজে লাগাতে চলেছে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

হিমাচল প্রদেশে খুব সাফল্যের সাথে বাঁদরদের বন্ধ্যাত্বকরণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। তাই কর্ণাটকেও এমন কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী। কিন্তু আরাগা জ্ঞানেন্দ্র এই কর্মসূচির বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন।

তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, আগে ৬ কোটি টাকা দিয়ে ‘মাঙ্কি পার্ক’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দেড় বছর কেটে যাওয়ার পর এখন তারা বলছে বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি চালু হবে। যার জন্য আবার ২৫ লক্ষ টাকা খরচ হবে।

শিল্পমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, বন্ধ্যাত্বকরণের জন্য ১২ জন ডাক্তারকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই বাঁদরগুলির দেখভাল করে সুস্থ করে জঙ্গলে ছেড়ে দেবেন। সেইসঙ্গে পূর্ব পরিকল্পিত মাঙ্কি পার্কও তৈরি করা হবে।

বাঁদরদের দৌরাত্ম্যের বিষয়ে শুধু জ্ঞানেন্দ্রই নন জেডিএস নেতা শ্রীনিবাস গৌড়াও অভিযোগ জানিয়েছেন। বাঁদররা কোলারের বিভিন্ন বাড়িতে ঢুকে বাসিন্দাদের বিরক্ত করছে ও নানা ক্ষতি করছে বলে জানিয়েছেন শ্রীনিবাস। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More