বিয়ের পিঁড়িতে বসার ঠিক আগেই গ্রেফতার বর
বিয়ের পিঁড়িতে বসাটা ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু তার আগেই অনেকটা সিনেমা বা টিভি সিরিয়ালের মতই গ্রেফতার হল বর। আপাতত গারদের পিছনে জায়গা হয়েছে তার।
রাহুল নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তরুণীর। তারপর ক্রমশ প্রেম গভীর হয়। সম্পর্ক প্রগাঢ় হয়। তৈরি হয় শারীরিক সম্পর্ক। অবশ্য শারীরিক সম্পর্কে যাওয়ার আগে তরুণী রাহুলের কাছে জানতে চেয়েছিল সে ঠিক তাকে বিয়ে করবে তো?
রাহুল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাকেই সে বিয়ে করবে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি পাওয়ার পর একাধিকবার রাহুলের সঙ্গে মিলন হয় তরুণীর। আর তারফলে একসময় তাঁর গর্ভে আসে সন্তান।
সন্তান এসেছে জানার পর সেই সন্তানকে জঠরেই শেষ করে দিতে চায় রাহুল। চাপ দিতে থাকে ওই তরুণীকে। তারপর তরুণীকে কার্যত বাধ্য করেই সে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট খাওয়াতে শুরু করে।
সন্তানসম্ভবা অবস্থাতেই ওই তরুণী তাঁর প্রেমিকের চাপে গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট খেতেও থাকেন। ক্রমশ তাতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতিও হতে থাকে।
এরমধ্যেই রাহুলের অন্যত্র বিয়ের ঠিক হয়। রাহুলও তার প্রেমের কথা বেমালুম চেপে গিয়ে বাড়ির স্থির করা মেয়ের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে রাজি হয়ে যায়। যে খবর আবার তরুণীর জানা ছিলনা।
উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের বাসিন্দা ওই তরুণী যখন ৫ মাসের সন্তানসম্ভবা তখন তাঁর শারীরিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয় যে তাঁকে মেরঠের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে তাকে।
ওই অবস্থায় তিনি পুলিশকে সব কথা খুলে বলেন। চিকিৎসকেরা কিন্তু তাঁকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হন। মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। সন্তানসম্ভবা অবস্থায় দিনের পর দিন গর্ভনিরোধক ট্যাবলেট খাওয়ার ফলেই তাঁর এই পরিণতি বলে জানান চিকিৎসকেরা।
পুলিশ ওই তরুণীর সঙ্গে কথা বলার পর রাহুলের খোঁজে তার বাড়ি পৌঁছয়। সেখানে তখন বিয়ে করতে রওনা দিতে রাহুল চড়ে বসেছে ঘোড়ার পিঠে। গোটা পরিবার আনন্দে আত্মহারা। তারমধ্যেই পুলিশ বরের পোশাকে থাকা রাহুলকে গ্রেফতার করে।
সব আনন্দ মুহুর্তে মুছে যায়। পুলিশ পুরো ঘটনাও তার পরিবারকে জানিয়েছে। আপাতত রাহুল নামে ওই যুবকের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্ত চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা













