National

টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর করোনার শিকার মন্ত্রী

করোনা প্রতিষেধক টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরও করোনার শিকার হলেন এক মন্ত্রী। ২ সপ্তাহ আগে তিনি টিকার প্রথম ডোজ নেন।

চণ্ডীগড় : ভারতের নিজস্ব করোনা প্রতিষেধক টিকা কোভ্যাক্সিন-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। এই পর্বে বিভিন্ন রাজ্যের মন্ত্রীদেরও টিকাকরণ করা হচ্ছে। যাকে ট্রায়ালের অঙ্গ হিসাবেই দেখা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম নাইসেড-এ গিয়ে কোভ্যাক্সিন-এর প্রথম ডোজ নিয়েছেন।

কোভ্যাক্সিন ২ ডোজের টিকা। তারই প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন হরিয়ানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ। ৬৭ বছরের অনিল ভিজই ছিলেন ওই রাজ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি কোভ্যাক্সিন-এর প্রথম ডোজ নেন।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ২ সপ্তাহের মধ্যেই কিন্তু তিনি করোনা পজিটিভ হলেন। তাঁর করোনা ধরা পড়েছে বলে জানান মন্ত্রী নিজেই। তিনি ট্যুইট করে জানান, তাঁর করোনা ধরা পড়েছে। তাই গত কয়েকদিনে তাঁর সংস্পর্শে যাঁরাই এসেছেন তাঁরাই যেন করোনা পরীক্ষা করিয়ে নেন।

কিন্তু তিনি তো করোনা প্রতিষেধক টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে ফেলেছেন। গত ২০ নভেম্বরই তাঁকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের পর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা। তারপরও তিনি কীভাবে সংক্রমণের শিকার হলেন সে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক অবশ্য পুরো বিষয়টি পরিস্কার করার চেষ্টা করেছে। তারা জানিয়েছে, এই টিকার ২টি ডোজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরই এর কার্যকারিতা শুরু হয়। প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ২৮ দিন পর দেওয়া হয় দ্বিতীয় ডোজ। এই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ১৪ দিন পর থেকে এই টিকা তার কার্যকারিতা শুরু করে। আর মন্ত্রী অনিল ভিজ সবে প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রক বোঝাতে চেষ্টা করেছে যে প্রথম ডোজ নেওয়ার পরই যে করোনাকে রোখার মত অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হয়ে যাবে এমনটা নয়। ফলে ভিজ সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এমনটা যে কারও সাথেই ঘটতে পারে।

মন্ত্রী অনিল ভিজকে ইতিমধ্যেই আম্বালার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। করোনা নিয়ে সেখানেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে অনেকেই বার্তা দিয়েছেন।

অন্যদিকে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে কোভ্যাক্সিন-এ কোনও গলদ এখনও নেই। পুরো কোর্স সম্পূর্ণ না হলে এই টিকা কাজ শুরু করেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *