মাঝরাতে আছড়ে পড়ে তাণ্ডব চালাল নিভার
এককথায় তাণ্ডব চালাল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নিভার। কার্যত তছনছ করে দিয়েছে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূল। বহু এলাকা বিদ্যুৎ বিহীন অবস্থায় রয়েছে। সঙ্গে চলছে বৃষ্টি।
![Cyclone Nivar](https://www.nilkantho.in/wp-content/uploads/2020/11/cyclone-nivar-1.jpg)
চেন্নাই ও পুদুচেরি : মাঝরাতেই আছড়ে পড়ার কথা ছিল। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মত মাঝরাতেই আছড়ে পড়ল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় নিভার। রাত আড়াইটে নাগাদ তামিলনাড়ুর মারাক্কানাম এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে এই দানব ঝড়। ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ছিল প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
স্থলভাগে প্রবেশের পর থেকেই তা তাণ্ডবলীলা শুরু করে দেয়। প্রায় ৩ ঘণ্টার ওপর ধরে ঝড়টি স্থলভাগে প্রবেশ করে। ঝড়ের দাপটে অজস্র ইলেকট্রিক পোল উপড়ে যায়। বহু এলাকা বিদ্যুবিহীন হয়ে পড়ে।
নিভার-এর দাপটে তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি-র তছনছ অবস্থা। যে মারাক্কানাম দিয়ে স্থলভাগে ঝড়টি প্রবেশ করে তা পুদুচেরি থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে। ফলে বলা ভাল পুদুচেরিও ঝড়ের তাণ্ডবলীলা একইভাবে অনুভব করেছে।
পুদুচেরিতেও বিদ্যুৎ চলে যায় অধিকাংশ এলাকায়। তামিলনাড়ু হোক বা পুদুচেরি, ২ রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও পরিস্কার নয়। তবে ক্ষয়ক্ষতি কত তা খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে সকাল থেকেই।
ঝড়ের দাপটে অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে। বাড়ির চাল উড়ে গেছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে ঝড় আসার আগেই ১ লক্ষের ওপর মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের অনেকের কাঁচা বাড়ি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক বাড়ি উড়ে গেছে ঝড়ের সঙ্গে। অনেক জায়গা শ্মশানের চেহারা নিয়েছে।
ঝড়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে বৃষ্টি। ঝড় যখন বঙ্গোপসাগরের ওপর ছিল, ক্রমশ এগিয়ে আসছিল স্থলভাগের দিকে, তখনই শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির দাপট প্রবল আকার নেয় ঝড়ের হাত ধরে।
মাঝরাতে ঝড় যখন ভয়ংকর চেহারা নিয়ে রাতের ঘুম উড়িয়ে বয়ে যাচ্ছিল তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি উপকূলের ওপর দিয়ে। ক্রমশ প্রবেশ করছিল স্থলভাগে। ততই ভয়ংকর চেহারা নিচ্ছিল বৃষ্টি। বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই চেন্নাই শহরের অনেক জায়গা জলের তলায় চলে গেছে। বানভাসি অনেক এলাকাই।
বৃষ্টি কিন্তু বৃহস্পতিবারও বেলা পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বিদ্যুৎ অবশ্য বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ধাপে ধাপে এসে যাবে বলে জানিয়ে দিয়েছে ২ সরকার। এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ইতিমধ্যেই নিভার অনেকটা দুর্বল হয়ে গেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা