National

ব্যয়সংকোচ করতে কোটি টাকার নোটে দেবতার পুজো

করোনা পরিস্থিতিতে মন্দির কর্তৃপক্ষ ব্যয় সংকোচে জোর দিতে চান। তাই এবার কোটি টাকার ওপর নোটের ফুল মালায় পুজো হল দেবতার।

হায়দরাবাদ : করোনা পরিস্থিতিতে মন্দিরের বিগ্রহের পুজো তো থেমে নেই। তাঁর পুজো হচ্ছে একদম নিয়ম মেনে। রীতি এবং প্রথা মেনে।

কন্যাক পরমেশ্বরী মন্দিরে নবরাত্রির পর দিন অর্থাৎ দশেরার দিন বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়। এখানে দশেরার দিন ধনলক্ষ্মী রূপে পূজিতা হন দেবী। ভক্তদের ঢল নামে মন্দিরে।

তেলেঙ্গানার এ মন্দিরের মাহাত্ম্য সর্বজনবিদিত। এবারও দশেরায় পুজো হল নিয়ম মেনেই। তবে খরচ কমাতে ১ কোটি ১১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ টাকার নোটে পূজিতা হলেন দেবী।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ১ কোটি ১১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ টাকার বিভিন্ন মূল্যমানের নোট ব্যবহার করে গোটা মন্দির সাজানো হয়েছে এবার। যত ফুলের মালা ও ফুলের সাজ ব্যবহার করা হয়েছে তা সবই ওই নোট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

সাধারণ ফুল এবার ব্যবহার করা হয়নি। এত টাকা দিয়ে বিগ্রহ ও মন্দির সাজাতে দক্ষ শিল্পীদের ডাকা হয়েছিল। তাঁরাই জাপানি কাগজের শিল্প অরিগামি-কে কাজে লাগিয়ে এই সব ফুল, মালা বা ফুলের সাজ তৈরি করেন। যা দিয়ে বিগ্রহ ও মন্দির অন্য রূপে সেজে ওঠে এবার।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে কাগজি মুদ্রা বিভিন্ন রংয়ের হয়। সেসব রংকেই নানাভাবে কাজে লাগিয়ে বাড়ানো হয়েছে সৌন্দর্য। তবে এটা প্রথমবার নয়। এবার বরং কম অর্থে এমন সাজে সাজল মন্দির।

২০১৭ সালে এর চেয়ে অনেক বেশি মূল্যমানের নোটে সেজেছিল মন্দির ও বিগ্রহ। সেবার কাজে লাগানো হয়েছিল ৩ কোটি ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩৩৩ টাকার নোট।

এবার যে ১ কোটি ১১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ টাকার বিভিন্ন মূল্যমানের নোট ব্যবহার হয়েছে তা এল কোথা থেকে এ প্রশ্ন জাগতেই পারে। সে প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, স্থানীয় বিভিন্ন ভক্তের কাছ থেকেই নানা মূল্যমানের নোট সংগ্রহ করা হয়েছে। পুজোর সাজ তা দিয়েই হয়েছে। আবার পুজোর পরে যিনি যে অর্থের নোট দিয়েছেন তাঁকে সেই অর্থ ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *