National

চলন্ত বাসে হার্ট অ্যাটাকে নিয়ন্ত্রণ হারালেন চালক

ব্যস্ত শহরের রাস্তায় অনেক বাস চলাফেরা করে। তেমনই একটি বাসের চালক তখন বাস চালাচ্ছিলেন। আর তখনই তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়।

মুম্বই : শহর জুড়ে প্রবল ব্যস্ততার মধ্যেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। একটি বাস ডিপো থেকে বেরিয়ে পাড়ি দিয়েছিল গন্তব্যের দিকে। রাস্তায় তখন বাসটি একটি ট্রাফিক সিগনালের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এমন সময় হঠাৎ স্টিয়ারিংয়ে থাকাকালীনই হৃদরোগে আক্রান্ত হন বাসের চালক। এরপর আর বাসের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি তিনি। বাসটি নিয়ন্ত্রণহীন ভাবেই এগোতে থাকে।

বেশি দূর অবশ্য বাসটি যেতে পারেনি। বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত। কিন্তু বাসটি তার আগেই গিয়ে ধাক্কা মারে বসন্ত পার্ক ট্রাফিক সিগনালে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

সিগনাল পোস্টটি বাসের ধাক্কায় হেলে যায়। আর বাসটি থেমে যায় সেখানেই। বাসের সামনের অংশের সামান্য ক্ষতি হয়। কিন্তু বাসে থাকা যাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি। ৯ জন যাত্রী ছিলেন ওই বাসে। তাঁদের কারও সামান্য আঘাতও লাগেনি।

ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ। ব্যস্ত মুম্বই শহরের ঘাটকোপার বাস ডিপো থেকে বেস্ট-এর ৩৮১ নম্বর বাসটি বেরিয়ে যাচ্ছিল চেম্বুরের দিকে। মাঝপথে ঘটে এই দুর্ঘটনা।

করোনার কারণে বাসে এখন বিধি মেনে নিয়ন্ত্রিত যাত্রী সংখ্যা থাকছে। তাই হয়তো বাসটিতে ৯ জন যাত্রী তখন ছিলেন। ঘটনার পর দ্রুত হরিদাস পাটিল নামে ওই বাস চালককে বাস থেকে নামিয়ে পুলিশের গাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাজাওয়াড়ি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে যখন নিয়ে যাওয়া হয় তখন তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। দ্রুত ব্যবস্থা নেন চিকিৎসকেরা। পরে চিকিৎসকেরা জানান হরিদাস পাটিলের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।

যদিও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতেই পারত। এ যাত্রায় রক্ষা পেলেন ওই চালক সহ বাসের অন্য যাত্রীরা এবং পথচলতি মানুষ। কারণ বাসটি যদি ট্রাফিক সিগনালে ধাক্কা না মেরে এগিয়ে যেত তাহলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারত। স্টিয়ারিংয়ের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিলনা কারও।

পরে বাসটিকে ওই ট্রাফিক সিগনাল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সিগনালের মেরামতির বন্দোবস্ত হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *