National

স্ক্রু ড্রাইভার পেরেক সূচ লোহার রড খেয়ে হাসপাতালে তরুণ

স্ক্রু ড্রাইভার, পেরেক, সূচ, লোহার রড এবং আরও কিছু জিনিসপত্র পেটে চালান করে দিয়েছিলেন দিব্যি। তারপর তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ছুট দেন বাড়ির লোকজন।

কানপুর : পেটের যন্ত্রণাটা ক্রমশ বাড়ছিল। গত রবিবার সেই পেটের যন্ত্রণা চরমে ওঠে। কাতরাতে থাকেন ১৮ বছরের তরুণ করণ। পরিবারের লোকজন এটা দেখার পর আর ঝুঁকি নেননি। করণকে নিয়ে হাজির হন হাসপাতালে।

হাসপাতালে করণের স্ক্যান করা হয়। পেটের স্ক্যান করা হতেই বোঝা যায় তাঁর পেটে অনেকগুলি জিনিস রয়েছে। যা বাইরে থেকে ঢোকানো হয়েছে। অর্থাৎ খাওয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা সময় নষ্ট না করে তখনই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন।

অপারেশন টেবিলে কিন্তু চিকিৎসকও হতবাক হয়ে যান। করণের পাকস্থলী থেকে এক এক করে বার হতে থাকে নানা জিনিস। বার হয় একটি স্ক্রু ড্রাইভার, ৩০টি ৩ ইঞ্চি লম্বা পেরেক, লোহার একটি ধারালো যন্ত্র, একটি লোহার ভোঁতা মুখ যন্ত্র, একটি ৪ ইঞ্চি লম্বা লোহার রড এবং সেলাই মেশিনে ব্যবহার করা হয় এমন ৪টি সূচ।

করণের পরিবার যা দেখে হতভম্ব। কারণ এতগুলো জিনিস তিনি কখন খেয়ে ফেললেন তা পরিবারের জানা নেই। সকলের অলক্ষ্যে পুরো বিষয়টি ঘটেছে।

এমন মনে হতেই পারে যে করণ কোনও আত্মঘাতী পদক্ষেপ করতে এমনটা করে থাকতে পারেন। কিন্তু তাঁর পরিবার জানিয়েছে করণ মানসিক ভারসাম্যহীন। অনেক সময়ই তিনি বুঝতে পারেননা যে তিনি কী করছেন। এভাবেই কখন যে তিনি এসব খেয়েছেন তা পরিস্কার নয়।

যদিও এতগুলি ধারাল ও সূচালো জিনিস খাওয়ার পরও তাঁর পাকস্থলীর খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। অস্ত্রোপচারও সফল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

চিকিৎসক অবশ্য এখনই করণকে ছাড়ছেন না। কারণ তিনি জানিয়েছেন হতে পারে সব কিছু পাকস্থলী থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে সময় সেগুলি পেটে ছিল তার জেরে পাকস্থলীতে পচন ধরার একটা সম্ভাবনা থেকে যায়।

তাই আপাতত করণ ৭ দিন হাসপাতালেই থাকবেন। তারপর পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা। তখনই স্থির করা হবে যে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে কিনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *