সামনে এল আমবাগানে বাদুড় মড়কের আসল কারণ

লখনউ : আমবাগানের মালিক গত ২৬ মে নিজের বাগানে টহল দেওয়ার সময় লক্ষ্য করেন কয়েকটি গাছ থেকে টুপ টুপ করে ঝরে পড়ছে বাদুড়ের দেহ। আমবাগানে গাছ থেকে আম ঝরতে দেখেছেন তিনি। কিন্তু এভাবে বাদুড় মরতে দেখেননি। দ্রুত বন দফতরে খবর দেন। বন দফতরের আধিকারিকরা সেখানে হাজির হওয়ার মধ্যে মাত্র ১ ঘণ্টায় ৫২টি বাদুড় এভাবে মরে গাছ থেকে পড়ে নিচে। এমন ঘটনায় খুব স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

কেন এমন ঘটনা তা জানতে ওই ৫২টি বাদুড়ের মধ্যে ৩টি বাদুড়ের দেহ পাঠানো হয় ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এ। এদিকে যেখানে ঘটনাটি ঘটে সেই উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়ায়। কারণও রয়েছে। করোনা ভাইরাস ছড়ানোর পিছনে বাদুড়ের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে বলে এখনও আলোচনা চলছে। ফলে সেই ভয় একটা ছিলই। অনেকে মনে করছিলেন করোনাতেই কী তাহলে এত বাদুড়ের নিমেষে মৃত্যু হল? অবশ্য পরীক্ষার পর সেই ভয় আর নেই।

ইন্ডিয়ান ভেটেরিনারি রিসার্চ ইন্সটিটিউট-এর ডিরেক্টর আরকে সিং জানিয়েছেন, বাদুড়দের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব বেশি। ওইদিন যে ৫২টি বাদুড়ের মৃত্যু হয়েছে তার কারণ কোনও ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নয়। তার কারণ অস্বাভাবিক গরম। প্রবল গরম সহ্য করতে না পেরে বাদুড়গুলির ব্রেন হ্যামারেজ হয়। আর তাতেই মৃত্যু হয়। যাকে সহজ কথায় গরম থেকে ব্রেন স্ট্রোক বলা হয়। প্রসঙ্গত উত্তরপ্রদেশের একটা বড় অংশ জুড়েই সে সময় তাপপ্রবাহ চলছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা