বরফের চাদরে মুড়ে অপরূপা কল্পা, পর্যটকরা আত্মহারা

ঝিরঝির করে বরফ পড়ছিল গত মঙ্গলবার রাত থেকেই। পূর্বাভাসও তেমনই ছিল। ক্রমশ পেঁজা তুলোর মত সেই বরফে মুখ ঢাকছিল রাস্তাঘাট, বাড়ির চাল, গাছপালা। এক অপরূপ সৌন্দর্য পেয়ে বসেছে গোটা এলাকায়। সেইসঙ্গে পারদ পৌঁছে গেছে মাইনাসে। ফলে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। হিমাচলে কল্পার এই বরফ ঢাকা রূপ আর হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় পর্যটকদের আনন্দের সীমা নেই। বুঝবার সকাল থেকেই ঝিরঝির বরফের মধ্যেই বরফের গোলা বানিয়ে খেলা শুরু হয়ে গেছে। অনেকে আবার তুষারপাত গায়ে মেখেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন আশপাশে। চোখ ভরে দেখছেন প্রকৃতির রূপ।
কল্পায় যখন পারদ পৌঁছে গেছে মাইনাস ১.৫ ডিগ্রিতে। তখন হিমাচলের কিলংয়ে পারদ পৌঁছেছে মাইনাস ৬ ডিগ্রিতে। তুষারপাতও হচ্ছে সেখানে। হিমাচলের পাহাড়ি এলাকার উঁচু জায়গাগুলোতে যথেষ্ট তুষারপাত হচ্ছে বুধবারও। যা শুরু হয়েছিল মঙ্গলবার রাত থেকে। পূর্বাভাস বলছে তুষারপাত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। এদিকে পাহাড়ের উঁচু অংশে তুষারপাত আরও বাড়বে বলেই পূর্বাভাস। ফলে গাড়ি নিয়ে খুব বেশি ওপরে উঠতে মানা করেছে হাওয়া অফিস।
হিমাচল প্রদেশের পাহাড়ি এলাকাগুলো যখন বরফে গা মুড়েছে তখন হিমাচলের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান সিমলায় ঝিরঝির বৃষ্টি। সিমলায় শীতের প্রথম দিকে বরফ বিশেষ পড়েনা। গতবারও তাই দেখা গিয়েছিল। ফলে পাহাড়ে যখন বরফ পড়ছে তখন সিমলা ভিজছে। যার জেরে পারদ পড়েছে। ৪.৭ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে সিমলার পারদ। মানালির পারদ পৌঁছেছে ৩.৮ ডিগ্রিতে। হিমাচলে নিচু এলাকায় এমন বৃষ্টি হবে বলেই পূর্বাভাস। অন্যদিকে লাহুল স্পিতি, চাম্বা, কুলু, কিন্নর, সিরমৌর জেলায় প্রচুর তুষারপাত অপেক্ষা করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা