National

৪ বছর সহবাসের পর প্রতারণার অভিযোগ মহিলার, রাতারাতি বিয়ে করলেন এসডিএম

তাঁর সঙ্গে গত ৪ বছর ধরে সহবাস করছিলেন উত্তরপ্রদেশের হাপুরের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট পদে থাকা ৩৮ বছরের দীনেশ কুমার। স্ত্রীয়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় দীনেশের। তারপর থেকে তাঁকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাঁর সঙ্গে দিনের পর দিন ধরে সম্ভোগ করেছেন দীনেশ। এর মধ্যে তিনি ২ বার সন্তান সম্ভবা হয়েছেন। আর ২ বারই গর্ভপাত করতে তাঁকে বাধ্য করা হয়।


৪ বছর ধরে তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এভাবেই সহবাস চালিয়ে গেছেন দীনেশ কুমার। কিন্তু তাঁকে এখনও বিয়ে করেননি। এভাবে দিনের পর দিন দীনেশের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের পরও তাঁকে বিয়ে না করায় অগত্যা গত শুক্রবার যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন ওই ৩৫ বছর বয়স্ক মহিলা।

ওই মহিলার অভিযোগ পাওয়ার পরই জেলাশাসক অনিল কুমার সিং দ্রুত বিষয়টিতে তদন্তের নির্দেশ দেন। এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। তারপরই ঘটে গেল অভাবনীয় ঘটনা। কুশিনগরের খাদ্দা এলাকা থেকে দীনেশ কুমার হালে বদলি হয়েছেন হাপুরে। আপাতত সেখানকার সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট তিনি। দীনেশ শুক্রবারই হাজির হন কুশিনগরে তাঁর বাড়ি থেকে জিনিসপত্র নিয়ে যেতে। এখন যেহেতু তাঁকে হাপুরেই থাকতে হবে। দীনেশ সব গুছিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগে তিনি জানতে পারেন তাঁর বিরুদ্ধে ওই মহিলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।


দীনেশ কুমার হয়তো বুঝতে পারেন এরপর তদন্তে সব ফাঁস হলে তাঁর ওপর প্রবল চাপ তৈরি হতে পারে। প্রশাসনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাকালীন এমন চাপ তাঁর চাকরি নিয়েও টানাটানি তৈরি করতে পারে। ফলে তিনি আর ঝুঁকি নেননি। শুক্রবারই মধ্যরাতে স্থানীয় গায়ত্রী মন্দিরে ওই মহিলাকে বিয়ে করেন দীনেশ। তাঁদের এই মন্দিরে বিয়ের সাক্ষী থাকেন সদর এসডিএম রাকেশ যাদব ও হাতা এসডিএম প্রমোদ তিওয়ারি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button