National

মাঝরাতে ভেঙে পড়ল বহুতলের পাঁচিল, ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত ১৫

গত শুক্রবার সকাল থেকেই মুম্বই ও তার আশপাশের বিশাল এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। বৃষ্টি হচ্ছিল পুনেতেও। সবে সেখানে বর্ষা প্রবেশ করল। আর সেই বর্ষার প্রথম বৃষ্টি যেমন স্বস্তি দিল মানুষকে তেমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটে গেল। মাঝরাতে পুনের কোন্ডওয়া এলাকায় বর্ধিষ্ণু অ্যালকন স্টাইলাস বিল্ডিং নামে একটি বহুতলের পাঁচিল এদিন ভেঙে পড়ে আচমকাই। রাত সওয়া ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বড় অংশ জুড়ে পাঁচিল ভেঙে পড়ে। মনে করা হচ্ছে টানা বৃষ্টিতেই মাটি আলগা হয়ে ভেঙে পড়ে পাঁচিলটি।

পাঁচিলের নিচেই ছোট ছোট অস্থায়ী ঝুপড়ি বানিয়ে বসবাস করছিলেন পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার থেকে সেখানে শ্রমিকের কাজে যাওয়া মানুষজন। ছিল তাঁদের পরিবার ও সন্তানেরাও। সেই অস্থায়ী ঝুপড়িগুলির ওপরই ভেঙে পড়ে পাঁচিল। পাঁচিলের বিশাল ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তার মধ্যে ১৫ জনের। আহত ৩ জন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ঘটনার পর রাতেই শুরু হয় ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে উদ্ধারকাজ। যা শনিবার দুপুরেও বজায় ছিল। তখনও ধ্বংসস্তূপ পুরো সরানো সম্ভব হয়নি। মনে করা হচ্ছে এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় মৃতদেহ থাকতে পারে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

ঘটনার পর শনিবার সকালে পাশেই চলা একটি নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। পুরো দমে উদ্ধারকাজ চলছে।‌ যে বহুতলের পাঁচিল ভেঙেছে সেই বহুতলের বাসিন্দাদের কিছু গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে এভাবে ১৫ জন মানুষের মৃত্যুতে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ জমা হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে ওই বহুতলের নির্মাণ সামগ্রির মান ও নির্মাণের গুণগত দিক নিয়ে। এদিকে জমতে থাকা ক্ষোভের মুখে পুনের মেয়র জানিয়েছেন মৃতদের পরিবারকে সবরকম সাহায্য দেওয়া হবে। মহারাষ্ট্রের এক মন্ত্রীও শনিবার সেখানে ছুটে যান। তিনিও জানান যাঁরা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাঁদের রেয়াত করা হবেনা। যদিও প্রশ্ন এখনও সেখানেই দাঁড়িয়ে, এমন নির্মাণকে ছাড়পত্র দিল কে? স্বভাবতই ক্ষোভের তির নির্দেশ করছে স্থানীয় প্রশাসনকে। তাদের দিকেই আঙুল তুলছেন সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *