National

লোকসভার মুখে ত্রিপুরা বিজেপিতে ভাঙন, কংগ্রেসে ৩ বিজেপি নেতা

লোকসভা নির্বাচন সামনে। তার আগে ত্রিপুরায় বড়সড় ধাক্কা খেল বিজেপি। সবে ১ বছর হয়েছে সেখানে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। তারমধ্যেই দলের ৩ নেতার এভাবে কংগ্রেসে যোগদান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তথা ত্রিপুরা বিজেপির সভাপতি বিপ্লব দেবকে স্বস্তিতে রাখলনা। স্বস্তিতে রাখল না বিজেপিকে। মঙ্গলবার বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন ত্রিপুরা বিজেপির সহ-সভাপতি সুবল ভৌমিক। এছাড়া ২ দাপুটে বিজেপি নেতা প্রকাশ দাস ও দেবাশিস সেন যোগ দেন কংগ্রেসে।


মঙ্গলবার ত্রিপুরার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যুত বিক্রম মাণিক্য দেববর্মন এবং এআইসিসি-র সম্পাদক ভূপেন ভোরা সাংবাদিক বৈঠকে এই ৩ বিজেপি নেতাকে দলে স্বাগত জানান। ২০১৫ সালে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সুবল ভৌমিক ২০১৭ থেকে ত্রিপুরায় বিজেপির সহ-সভাপতি পদ ধরে রেখেছিলেন। তাঁর দাবি, রাজ্যে উন্নয়নের যে বার্তা নিয়ে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল তা হয়নি। তাছাড়া ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকে তিনি ত্রিপুরায় বিজেপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অথচ তাঁকে সুযোগ না দিয়ে বিপ্লব দেব মুখ্যমন্ত্রী ও দলের প্রদেশ সভাপতির পদ একসঙ্গে ধরে রেখেছেন। সেই ক্ষোভ থেকেই তিনি কংগ্রেস যোগ দিয়েছেন বলে জানান সুবলবাবু।

অন্যদিকে একসময়ে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রকাশ দাস ও একসময়ের বাম নেতা দেবাশিস সেন, ২ জনেই বিজেপিতে যোগ দেন ২০১৭ সালে। মাত্র ২ বছরের মধ্যেই তাঁদের মোহভঙ্গ কিন্তু বিজেপিকে চিন্তায় রাখল। এঁরা ২ জনেই কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর দাবি করেন, ত্রিপুরায় খুব দ্রুত বিজেপির পতন হবে। কারণ ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার পর বিজেপি তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার ভুলে গেছে এবং জনবিরোধী কাজ করছে।



(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button