National

মেয়েকে বিদেশে পাঠাতে ব্যর্থ, স্ত্রী ও ২ মেয়েকে হত্যা করল ব্যবসায়ী!

ইচ্ছা ছিল উচ্চ শিক্ষার জন্য মেয়েকে অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর। এর জন্য প্রয়োজন ৭০ লক্ষ টাকার। অথচ মাথার ওপর ঋণের বোঝা ১৫ কোটি টাকার। সে কথা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি স্ত্রী ও ২ মেয়ে। তার ওপর ব্যবসা চলছে মন্দার মধ্য দিয়ে। দেনা মিটবেই বা কি করে? আর মেয়েকে এতগুলো টাকা খরচ করে বিদেশে পড়ানোই বা সম্ভব কিভাবে? তাই ইচ্ছা থাকলেও বড় মেয়েকে বিদেশে পাঠাতে রাজি হননি ধর্মেশ শাহ। এই নিয়ে গত সোমবার স্ত্রীয়ের সঙ্গে একপ্রস্ত অশান্তি হয় পেশায় ইমারতি ব্যবসায়ীর। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্ভবত সাংসারিক ঝামেলা ও অবসাদে মানসিক স্থিতি হারিয়ে ফেলে মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি। আর তাতেই কিছু না ভেবে সে স্ত্রী ও ২ মেয়েকে গুলি করে খুন করে।

তদন্তে তারই জোরাল তথ্যপ্রমাণ হাতে এসেছে বলে দাবি আমেদাবাদ পুলিশের। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ৫০ বছর বয়সী ওই ব্যবসায়ী মঙ্গলবার রাতে গুলি করে প্রথমে খুন করে ঘুমন্ত স্ত্রী অ্যামিকে। তারপর একে একে সে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় বড় মেয়ে হেলি ও ছোট মেয়ে খুশিকে। এরপর আত্মীয়স্বজনকে ফোন করে সে নিজেকে শেষ করে দেওয়া কথা জানায়। যদিও শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করেনি ওই ব্যবসায়ী। বরং থানায় ফোন করে ওই ব্যক্তি স্ত্রী ও মেয়েদের খুন করার কথা জানায়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *