National

চিকিৎসকের কমোড থেকে উদ্ধার সদ্যোজাতের দেহ

এক চিকিৎসকের ক্লিনিকের টয়লেট থেকে সদ্যোজাত শিশুকন্যার দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। টয়লেটের কমোড দিয়ে কাদাগোলা জল বার হচ্ছে। পরিচারিকার মুখে এই কথা শুনে গত শুক্রবার ক্লিনিকে মিস্ত্রি ডেকে পাঠান চিকিৎসক আব্দুল রহমান। কেরালার পালাক্কড় জেলার নাত্তুকল থানা এলাকায় তাঁর ক্লিনিকের ভালোই সুনাম। চিকিৎসকের দাবি, কমোডের মুখে গোলাকার একটা জিনিস আটকে থাকতে দেখে সেটিকে বল ভেবে টেনে বার করতে যান মিস্ত্রি। কিছুটা বার করতেই দেখা যায়, বল নয় সেটি আসলে একটি সদ্যোজাত শিশুকন্যার মাথা!

অনেক কষ্টে কমোড থেকে মৃত শিশুর পুরো দেহ টেনে বার করার পর চিকিৎসক খবর দেন পুলিশে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের প্রথমে মনে হয়, শিশুটির মা-বাবা চিকিৎসককে দেখাতে এসে কোনও এক ফাঁকে শিশুটিকে হয়তো কমোডে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। কিন্তু মৃত শিশুকন্যার দেহের সঙ্গে দলা পাকানো মাতৃ জঠরের নাড়ি দেখার পর অবশ্য পুলিশ সিদ্ধান্তে আসে, কোনওভাবে টয়লেটের মধ্যে প্রসব হয়ে যাওয়ায় আতঙ্কে কমোডের মধ্যে ফ্লাশ করা হয় নবজাত শিশুর দেহ। তারপর হয়তো ভয়ের চোটে শিশুর মা-বাবা পুরো বিষয়টি চেপে যান। মৃত শিশুর মা-বাবার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। ঠিক কীভাবে ঘটনাটি ঘটল তাও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *