National

ভারত বন্‌ধে বিহারে অশান্তি, সংঘর্ষ

কোনও সংগঠনের তরফে এই ভারত বন্‌ধ ডাকা হয়নি। কোনও সংগঠন এগিয়ে এসে দাবিও করেনি যে তারাই এই বন্‌ধ ডেকেছেন। কেবল দলিতদের ডাকা গত ২ এপ্রিলের ভারত বন্‌ধের পর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় এদিনের ভারত বন্‌ধে সামিল হওয়ার কথা প্রচার করা হচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে এদিনের ভারত বন্‌ধের ইস্যু ছিল শিক্ষা ও চাকরিতে সংরক্ষণের বিরোধিতা। ফলে এদিনের বন্‌ধে সামিল হতে দেখা গেছে মূলত উচ্চবর্ণের মানুষজনকেই।

বিহারের আরায় এদিন বন্‌ধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বন্‌ধ সমর্থক ও সংরক্ষণপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। যেখানে ১২ জন গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবস্থা আয়ত্তে আনে। এছাড়াও এদিন সকাল থেকেই বিহারের বিভিন্ন জায়গায় বন্‌ধ সমর্থকেরা পথ অবরোধ, রেল অবরোধ, জোর করে দোকান বন্ধ করানোর রাস্তায় হাঁটেন। বিহারের বেগুসরাই, নওয়াডা, ভোজপুর, দ্বারভাঙ্গা সহ বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির আগুন ছড়ায়।


উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালেও এদিন বন্‌ধ সমর্থকেরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ লাঠিচার্জ করে অবস্থা আয়ত্তে আনে।

দলিত বন্‌ধের দিন সংঘর্ষে ৮ ব্যক্তির মৃত্যুর স্মৃতি এখনও তাজা। তাই এদিন যাতে বন্‌ধ ঘিরে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেজন্য আগেভাগেই ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। মধ্যপ্রদেশে সকাল ৬টা থেকে কোথাও কোনও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ভিন্দে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কার্ফু জারি করা হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত গোয়ালিয়রে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

উত্তরপ্রদেশেও প্রশাসনের তরফে কড়া সতর্কতার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকেই মুজফ্ফরনগর, শামলি, হাপুর ও সাহারানপুরে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। ফিরোজাবাদ জেলায় সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন।

রাজস্থানেও কোনও ঝুঁকি না নিয়ে রাজ্য প্রশাসন মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। রাজ্য জুড়ে কড়া সুরক্ষা বলয়ে গোটা দিন মোড়া ছিল রাজস্থান। দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে বন্‌ধে তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি।

Show More

News Desk

নীলকণ্ঠে যে খবর প্রতিদিন পরিবেশন করা হচ্ছে তা একটি সম্মিলিত কর্মযজ্ঞ। পাঠক পাঠিকার কাছে সঠিক ও তথ্যপূর্ণ খবর পৌঁছে দেওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে নীলকণ্ঠের একাধিক বিভাগ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকরা খবর সংগ্রহ করছেন। সেই খবর নিউজ ডেস্কে কর্মরতরা ভাষা দিয়ে সাজিয়ে দিচ্ছেন। খবরটিকে সুপাঠ্য করে তুলছেন তাঁরা। রাস্তায় ঘুরে স্পট থেকে ছবি তুলে আনছেন চিত্রগ্রাহকরা। সেই ছবি প্রাসঙ্গিক খবরের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে। যা নিখুঁতভাবে পরিবেশিত হচ্ছে ফোটো এডিটিং বিভাগে কর্মরত ফোটো এডিটরদের পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে। নীলকণ্ঠ.in-এর খবর, আর্টিকেল ও ছবি সংস্থার প্রধান সম্পাদক কামাখ্যাপ্রসাদ লাহার দ্বারা নিখুঁত ভাবে যাচাই করবার পরই প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button