মঙ্গলগ্রহের কুমিরের রাজ্যে হাজির নাসার যান, পুরনোর খোঁজে নতুন জায়গায় হাজিরা
মঙ্গলগ্রহকে প্রতিদিনই যেন নতুন করে চিনছেন বিজ্ঞানীরা। যা চিনতে সাহায্য করছে নাসার একাধিক রোভার। তার একটি এবার পৌঁছল কুমিরের রাজ্যে।

লাল গ্রহকে চেনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। নাসার রোভার মঙ্গলের মাটিতে ঘুরছে। তাদের কাছ থেকে যত তথ্য বিজ্ঞানীরা পাচ্ছেন ততই লাল গ্রহকে তাঁরা নিত্যনতুন করে চিনছেন। জেজেরো ক্রেটার থেকে উপরে উঠে সেই গভীর গর্তের চারধারে ঘুরছে নাসার রোভার পারসিভিয়ারেন্স।
নতুন নতুন জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে সে। এতদিন উইচ হ্যাজেল হিল-এ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করার পর এবার পারসিভিয়ারেন্স নতুন জায়গায় পা রেখেছে। উইচ হ্যাজেল হিল-এর পশ্চিম ও দক্ষিণ দিকে একটু নিচের দিকে রয়েছে একটি মালভূমি অঞ্চল।
৭৩ একর জায়গা জুড়ে সেই মালভূমি পাথুরে জমি। এই জায়গার নাম বিজ্ঞানীরা দিয়েছেন ক্রোকোডিলেন। নরওয়েতে কুমির পাওয়া যায়না ঠিকই, তবে নরওয়েতে কুমিরকে ডাকা হয় ক্রোকোডিলেন নামে। সেই নামেই লাল গ্রহের এই মালভূমির নাম রেখেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
যেখানে পারসিভিয়ারেন্স পা রেখেছে। আর তাতেই আশায় বুক বাঁধছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের ধারনা মঙ্গলগ্রহের প্রাচীনতম পাথর ও মাটির খোঁজ পাওয়া যাবে এখানে। যা মঙ্গলে জল ছিল কিনা তাও নিশ্চিত করবে।
এর আশপাশে এমন কিছু কাদামাটির নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে যা থেকে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন তা তৈরিই হয়েছিল প্রচুর জলের সংস্পর্শে এসে। জল ছাড়া তো কাদামাটি তৈরি হতে পারেনা।
এখন তাঁদের ধারনা এই ক্রোকোডিলেন-এ এমন কাদামাটি পাওয়া যেতে পারে যা বলে দেবে মঙ্গলে একসময় প্রচুর জল ছিল। এখন পারসিভিয়ারেন্সের খোঁজের দিকে তাই তাকিয়ে আছেন তাঁরা। জানতে চাইছেন মঙ্গলের এই নতুন জায়গা সম্বন্ধে।