National

সত্যিটা কী! ভেবে কুল পাচ্ছেননা আমজনতা!

নিয়মিত খবরের কাগজ বা ইন্টারনেট খবরে চোখ রাখা পরিমলবাবুর দীর্ঘদিনের অভ্যাস। ফলে সব খবরের আগুপিছু সম্বন্ধে রীতিমত ওয়াকিবহাল তিনি। শনিবার সেই পরিমলবাবুও মাথা চুলকে চলেছেন। বিড় বিড় করছেন নিজের মনেই। কান পেতে উদ্ধার হল তাঁর আপনমনের প্রলাপ। কে যে ঠিক বলছে সেটাই তো বোঝা যাচ্ছেনা! নাকি দুজনেই মিথ্যা বলছে। পাবলিককে এরা যা পারছে বোঝাচ্ছে! কিন্তু কী এমন হল যাতে সবে ষাট পার করা পরিমলবাবুর মত অভিজ্ঞ মানুষও চরম বিরক্ত! অবশেষে উদ্ধার হল কারণটা। গত শুক্রবার রাহুল গান্ধী বলেছিলেন তাঁকে সংসদে বলতে দেওয়া হচ্ছেনা। কেন্দ্র তাঁকে বলার সুযোগ দিচ্ছে না। সংসদে তাঁকে একবার মুখ খুলতে দিলে নাকি ভূমিকম্প হবে‍! সেই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। গুলিয়ে দিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। রাহুল গান্ধী দাবির ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে শনিবার গুজরাটে একটি কৃষক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন বিরোধীরা তাঁকে সংসদে বলতে দিচ্ছেন না। তিনি আলোচনা চাইলেও তা ভণ্ডুল করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই বিরোধীরাই তো দিনের পর দিন প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে সংসদে গলা চিরে ফেললেন! তবে কে ঠিক? এখানেই সমস্যায় পড়েছেন পরিমলবাবু। পরিমলবাবু আসলে একজন প্রতীক মাত্র। আসলে তিনি দেশের আমজনতার প্রতীক। ‌‌যাঁরা নোট বাতিল নিয়ে সংসদে কে কাকে আসলে বলতে দিচ্ছেনা তা নিয়ে বেজায় চিন্তায় পড়েছেন। এদিন গুজরাটে আরও একধাপ এগিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁকে লোকসভায় বলতে দেওয়া হচ্ছেনা বলেই বাধ্য হয়ে তাঁকে জনসভায় সব কথা বলতে হচ্ছে। সংসদে বিরোধীদের আচরণে স্বয়ং রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত ক্ষুব্ধ বলে দাবি করেন মোদী। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তিনি সংসদ অচল থাকায় অত্যন্ত রেগে গেছেন। প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার সংসদ অচল নিয়ে নিজের ক্ষোভ চেপে রাখেননি রাষ্ট্রপতি। সাংসদদের দয়া করে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সেই সূত্র ধরেই এদিন জনসভায় রাষ্ট্রপতির ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

 


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *