শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর কাহিনি ভারতবাসীর সামনে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বাংলার যে অগুন্তি দেশপ্রেমী বলিদান দিয়েছেন তাঁদের একজন অবশ্যই ক্ষুদিরাম বসু। যাঁর কথা এদিন দেশবাসীর সামনে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

দিনটা ছিল ১৯০৮ সালের ১১ অগাস্ট। এক ১৮ বছর ৮ মাস ৮ দিন বয়সের কিশোর বঙ্গ সন্তান সেদিন ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। সাংবাদিকরা পরে লিখেছিলেন ফাঁসির মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষুদিরাম বসুর মুখে ছিল হাসি। দেশের জন্য গভীর প্রেম ও গর্ব।
নির্ভীক এক কিশোর সেদিন ব্রিটিশ শাসকদেরও হয়তো অবাক করে দিয়েছিলেন। ফাঁসির সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর মুখ ছিল ভয়ডর হীন। বিহারের মুজফ্ফরপুর সেদিন যেন থমকে গিয়েছিল এক কিশোরের দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জনের খবরে।
ক্ষুদিরামের জন্য সেদিনটা ছিল গর্বের দিন। দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার গর্ব ছিল তাঁর চোখেমুখে। যে জেলে তাঁর ফাঁসি হয় সেই জেলের চারধার ঘিরে ফেলেছিল সাধারণ মানুষের ভিড়।
ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করা যে বীর শহিদদের নাম ভারতবাসীর মুখে মুখে ঘোরে তাঁদের একজন অবশ্যই ক্ষুদিরাম বসু। যিনি মাত্র ১৮ বছর বয়সে হাসিমুখে দেশের জন্য ফাঁসির মঞ্চে পা রেখেছিলেন।
সেই নির্ভীক দেশপ্রেমীর কথা আজ তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে এভাবেই তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রতি মাসের শেষ রবিবার মানেই প্রধানমন্ত্রীর রেডিও অনুষ্ঠান মন কি বাত। এবার ছিল তার ১২৪ তম অধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ক্ষুদিরাম বসুর মত এমন দেশের পরম ভক্তরা এভাবেই তাঁদের রক্ত দিয়ে ভারতকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। এদিন বাংলার এই বীর সন্তানের কথা গোটা দেশের সামনে তাঁর মন কি বাত অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।