Lifestyle

বিশ্বখ্যাত ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিতে পর্যটন, তৈরি হচ্ছে রোপওয়ে

ঘুমিয়ে আছে আগ্নেয়গিরি। শুধু সেই ভরসায় তার গা জুড়ে পর্যটনে জোর দেওয়া শুরু হল। আগ্নেয়গিরির গায়ে তৈরি হচ্ছে পর্যটকদের জন্য রোপওয়ে।

Published by
News Desk

পাহাড়ি এলাকায় ২টি পাহাড়ের মাঝের নিচু উপত্যকাকে নিচেই রেখে দড়ি ধরে দুটি পাহাড়ের যোগ। আর সেই দড়ি ধরে এগিয়ে চলে কয়েকজন মানুষ বহনে সক্ষম ছোট ছোট ঝুলন্ত বাক্সের মত রেক। যা রোপওয়ে বলেই খ্যাত।

মূলত পর্যটকদের আকর্ষিত করতেই রোপওয়ে তৈরি করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পাহাড়ি এলাকায় রোপওয়ে রয়েছে। সারা বছর তাতে মানুষের ঢল লেগে থাকে। কারণ রোপওয়ে থেকে চারধার যেমন সুন্দর লাগে তেমনই উপত্যকাকে অনেকটা ওপর থেকে বড় সুন্দর করে উপভোগ করা যায়।

পাহাড়ে রোপওয়ে ভাল বটে, কিন্তু সে পাহাড় যদি একটি আগ্নেয়গিরি হয় তাহলে একটু চমক লাগে বৈকি। কিন্তু এবার সেটাই হচ্ছে। আর শুধু হচ্ছেনা, যে পাহাড়ে তা হচ্ছে তা এক জগত বিখ্যাত ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি।

আফ্রিকার সবচেয়ে উঁচু পাহাড়টির নাম কিলিমাঞ্জারো। যা আদপে একটি ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। পাহাড়ের মাথাটা তাই একটু চ্যাপ্টা। আর সেখানেই রয়েছে জ্বালামুখ।

আফ্রিকার তানজানিয়ায় পড়ছে এই পাহাড়। যা এককভাবে একাকী দাঁড়িয়ে আছে। কোনও পর্বতমালার অংশ নয়, নিছক একক পাহাড় হিসাবে কিলিমাঞ্জারো হল বিশ্বের সর্বোচ্চ।

আফ্রিকার কোনও পাহাড়ের চুড়োয় বরফ দেখা যায়না। কিলিমাঞ্জারোর মাথায় আবার সেটাও দেখা যায়। এও এক আশ্চর্য। এবার কিলিমাঞ্জারোর মুকুটে আরও এক আশ্চর্য যোগ হতে চলেছে। যা অবশ্য প্রকৃতির নয়, মানুষের দান হতে চলেছে। কিলিমাঞ্জারোতে পর্যটনে জোর দিতে তৈরি হচ্ছে রোপওয়ে।

কিলিমাঞ্জারোর উচ্চতা ৫ হাজার ৮৯৫ মিটার। পাহাড়ের একদম চুড়োয় না হলেও কিলিমাঞ্জারোর ৩ হাজার ৭০০ মিটার উচ্চতায় তৈরি হচ্ছে রোপওয়ে। যে প্রকল্পে সবুজ সংকেত দিয়ে দিল তানজানিয়া সরকার।

এই রোপওয়ে তৈরির জন্য বিভিন্ন সংস্থাকেও আহ্বান জানানো হয়েছে। রোপওয়ে তৈরি হয়ে গেলে কিলিমাঞ্জারো দেখতে আসা পর্যটকরা বাড়তি আকর্ষণ অনুভব করবেন।

প্রসঙ্গত পর্যটক ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনুমানিক ৫০ হাজার পর্বতারোহী প্রতি বছর কিলিমাঞ্জারোতে চড়ে থাকেন। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Share
Published by
News Desk