World

মাটির নিচের নর্দমা সাফ করতে গিয়ে মিলল মানুষের চেয়ে বড় ‘ইঁদুর’

মাটির নিচের নর্দমা সাফ করতে গিয়ে চমকে উঠলেন সাফাইকর্মীরা। মিলল মানুষের চেয়ে বড় ‘ইঁদুর’!

তার চেহারা দেখলে যে কেউ আঁতকে উঠতে পারেন। যেমন তার লোমশ দেহ। তেমনই অতিকায় মুখ। মানুষের চেয়ে বড় তার চেহারা। যা দেখলে আঁতকে ওঠা স্বাভাবিক।

মনে হতেই পারে যে যেখানে অনেক প্রাণিই মানুষের চেয়ে চেহারায় বড়, তাবলে তাদের দেখে মানুষ আঁতকে ওঠে না। ঠিক কথা। কিন্তু মানুষ যে প্রাণিটিকে ছোট চেহারায় দেখে অভ্যস্ত সে যদি হঠাৎ দানবীয় দেহে দৃশ্যমান হয় তাহলে ভয়ের কারণ রয়েছে। যেমনটা ঘটল নর্দমা সাফাই করতে গিয়ে।


আকর্ষণীয় খবর পড়তে ডাউনলোড করুন নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

শহরের তলা দিয়ে গেছে নর্দমা। নিকাশি প্রণালী। যেখানে নেমে নিশ্চিন্তে মানুষজন সাফাই কাজ চালাতে পারেন। মেক্সিকোর রাজধানী শহর মেক্সিকো সিটির সেই নর্দমা সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়েছিল পুরো দমে।

২২ টন ওজনের জঞ্জাল সেখান থেকে সাফ করা হয়। আর এই সাফাই কাজ করার সময় সাফাইকর্মীদের নজরে পড়ে এক অতিকায় ইঁদুর!

এত বড় ইঁদুর! তাই হয় নাকি! মানুষের চেয়ে বড়! প্রথমে নজর পড়াতে বিশ্বাস হয়নি তাঁদের। তারপর কাছে গিয়ে সাফাইকর্মীরা দেখেন নিথর হয়ে পড়ে আছে ইঁদুরটি।

শুরু হয় সেটিকে ওপরে টেনে তোলার কাজ। নর্দমা থেকে বার করার পর রাস্তার ওপর রেখেই হোসপাইপ দিয়ে জল ঢেলে ইঁদুর সাফাই করা হয়।

যে ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়ার পর এক মহিলা দাবি করেছেন যেটি পাওয়া গিয়েছে সেটি তাঁর। কয়েক বছর আগে হ্যালোউইন পালনের সময় বাড়ি সাজাতে এই বিশাল চেহারার ইঁদুরের সফট টয়টি কেনেন তিনি।

হ্যালোউইন মানেই ভৌতিক, দানবীয়, বীভৎস দর্শন কিছু দিয়ে বাড়ি সাজানো। এই হ্যালোউইন উৎসব অনেকটা বাংলার ভূতচতুর্দশীর মত।

মহিলা দাবি করেন সেই সময় তিনি এই মানুষের চেয়ে বড় চেহারার ইঁদুরটি দিয়ে সাজিয়ে ছিলেন বাড়ি।

সেই ইঁদুরটি হ্যালোউইন শেষে জায়গা পেয়েছিল জঞ্জালের স্তূপে। তারপর সেটি কোনওভাবে নর্দমায় পড়ে যায়। মাটির তলার নর্দমা তারপর থেকে সেভাবে সাফাই না হওয়ায় ওটি সেখানেই পড়ে ছিল।

অবশেষে সেটি উদ্ধার হল। যা নিয়ে গোটা ইন্টারনেট তোলপাড় হয়ে গেছে। ছবিটি শেয়ার হয়েছে অসংখ্যবার।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *