World

বিশ্বের দুর্বলতম মেয়ে, কি তাঁর কাহিনি

তরুণীই লেখেন তাঁর আত্মজীবনী ‘লিজি বিউটিফুল’। তারপর ২০১২-তে তাঁরই লেখা ‘বি বিউটিফুল, বি ইউ’ গোটা পৃথিবীর মন জয় করে ফেলে।

নাম তাঁর লিজি ভালসাকেজে। বাস সেই সুদূর মার্কিন মুলুকের টেক্সাসের অস্টিনে। কিন্তু বাকি মেয়েদের থেকে তাঁর জীবনটা বেশ আলাদা। লিজির শরীরে নেই কোনও অ্যাডিপোজ টিস্যু। ফলে শরীরে কোনও পেশী তৈরি হয়নি তাঁর। বাড়ে না ওজনও। তাঁর একটি চোখ পুরোপুরি ঝাপসা।

বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একবিংশ শতকের এই আধুনিক সভ্যতা তাঁর গায়ে এঁটে দেয় বিশ্বের কুৎসিততম মেয়ের তকমা। এমনকি লিজিকে আত্মহত্যা অথবা পালিয়ে গিয়ে লুকিয়ে দিনযাপনের পরামর্শও দেন অনেকে। কিন্তু তারপরও বিরল রোগে আক্রান্ত এই অদম্য নারীর জীবনীশক্তিকে কোনওভাবেই রোখা যায়নি। চরম প্রতিকূলতার চক্রব্যূহেও কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় তা বোধহয় জানা ছিল এই তরুণীর।


পড়ুন আকর্ষণীয় খবর, ডাউনলোড নীলকণ্ঠ.in অ্যাপ

২০১০ সালে বিশ্বের এই কুৎসিততম তরুণীই লেখেন তাঁর আত্মজীবনী ‘লিজি বিউটিফুল’। তারপর ২০১২-তে তাঁরই লেখা ‘বি বিউটিফুল, বি ইউ’ গোটা পৃথিবীর মন জয় করে ফেলে। বইয়ের শুরুতে লিজি লিখেছিলেন, চেহারা নয়, মানুষকে মূল্যায়ন করতে হবে অর্জিত গুণ দিয়ে।

রঙিন কর্পোরেট সভ্যতা আমাদের প্রতিনিয়ত গ্ল্যামারাস হওয়ার মন্ত্র কানে ঢেলে যায়। তাই ফেয়ারনেস ক্রিমের বাজারি বিজ্ঞাপনের জালে আমরা নিজেরা কতটা অসহায় তা বুঝেও বুঝি না। সেখানেই লিজির মতো ব্যতিক্রমীরা অনুপ্রেরণা দেন। রূপ নয়, মনের সৌন্দর্যই আসল। গ্ল্যামার নয়, কর্মই পারে আমাদের জীবনকে সর্বাঙ্গসুন্দর করতে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *