নবদম্পতির চুক্তিপত্র স্বাক্ষর, ছবি – সৌজন্যে – ইন্সটাগ্রাম - @wedlock_photography_assam
গত জুন মাসের কথা। এক তরুণ তরুণী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সে তো অনেক নতুন দম্পতিই ওই মাসে তাঁদের নতুন জীবন শুরু করেছেন। তাহলে এঁদের ক্ষেত্রে বিশেষত্বটা কি?
বিশেষত্বটা ছিল তাঁদের একটি শর্তাবলীপত্রে সইয়ে। বিয়ের রেজিস্ট্রেশন কিন্তু নয়। এটা ছিল তাঁরা নতুন জীবন শুরুর পর কি করবেন এবং কি করবেন না তার একটি তালিকা তৈরি করে তাতে কার্যত সই করা।
যে শর্তপত্রে সকলকে সাক্ষী রেখে তাঁরা সই করেন। সেই তালিকা তাঁরা মেনে চলেছেন কিনা পরবর্তীকালে তা কারও জানা নেই। যেমন প্রত্যেকদিন জিম যাওয়া বা বাড়ির খাবারে কেউ না করতে পারবেন না। এমনকি রবিবার সকালের ব্রেকফাস্ট বরকেই বানাতে হবে এমন শর্তেও সই করেন ২ জনে।
সেই তালিকায় একটি শর্ত ছিল যে তাঁরা মাসে ১টার বেশি পিৎজা খাবেন না। এবার তাঁদের সেই শর্ত পূরণ করাতে এগিয়ে এল একটি বিখ্যাত পিৎজা ব্র্যান্ড।
বিখ্যাত পিৎজা ব্র্যান্ড পিৎজা হাট সোশ্যাল সাইটে জানিয়েছে তারা অসমের ওই দম্পতির পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের শর্তপূরণে সহযোগী হবে। তারাই তাদের তরফ থেকে প্রতিমাসে ওই দম্পতিকে একটি করে পিৎজা পাঠিয়ে দেবে। তাও বিনামূল্যে। আর এভাবে ১ বছর তারা ওই দম্পতিকে পিৎজা পাঠাবে।
ফলে জুনের পর ফের খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন ওই দম্পতি। পিৎজা হাটের মত সংস্থা যে তাঁদের ওই বিয়ের দিনে শর্তাবলীর চুক্তিপত্রে সইকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে তা দেখে সকলেই চমকিত।