তালসারির সমুদ্রতট, নিজস্ব চিত্র
সমুদ্র সৈকত ভারতে কম নেই। সেখানে মানুষ ঘুরতেও হাজির হন। কিন্তু যদি চুটিয়ে ছুটি কাটানোর কথা আসে তখন সকলের প্রথম পছন্দের নাম হয় গোয়া।
এত সমুদ্র সৈকত থাকতে গোয়াই কেন? কারণটা সমুদ্রে লুকিয়ে নেই। লুকিয়ে আছে সমুদ্রের ধারে ঘুরতে গিয়ে আনন্দ ফুর্তির সুযোগ কতটা থাকছে তার মধ্যে।
গোয়ায় মানুষ সমুদ্রের ধারে পান সবরকম আনন্দের উপাদান। গোয়ায় রয়েছে একের পর এক শ্যাক। আর সেখানে দারুণ খাবার, শীতল পানীয়, গান-বাজনা, রোদ পোহানোর সুবিধা সবই থাকে।
সমুদ্রের ধারে শ্যাকের সামনে ছাতার মত লাগিয়ে থাকে আধশোয়া হয়ে প্রাণ ভরে সমুদ্রের আনন্দ উপভোগ করার সুযোগ। রাতে এসব শ্যাকই আলোয় ভরে ওঠে। রঙিন হয়ে ওঠে রাতের সমুদ্রতট।
এখানেই অন্য সমুদ্রসৈকতের থেকে এগিয়ে থাকে গোয়া। যা পর্যটকদের আকর্ষিত করে। এবার সেই রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল ওড়িশা। আরব পাড়ের গোয়ার সঙ্গে টক্কর দিতে বঙ্গোপসাগরের পাড়ে ওড়িশা জুড়ে তৈরি হচ্ছে অনেক শ্যাক। কী এই শ্যাক?
শ্যাক হল এক ধরণের রেস্তোরাঁ ও বিনোদন ক্ষেত্রের মিশেল। তৈরি হয় সমুদ্রের সামনে বালির ওপরই বা বালির ধারে। সাধারণত টালি, খড় বা স্থানীয় কোনও গাছের পাতাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি হয় এর চাতাল।
মোটা গাছের গুঁড়ি বা বাঁশ দিয়ে তৈরি হয় পুরো শ্যাক। যা দোতলাও হয়, তিন তলাও হয়। সেখানে থাকে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা। বিনোদনের সুবিধা।
সময়ের সঙ্গে বিনোদনের ভাষাও বদলেছে। বিভিন্ন শ্যাক সেই আধুনিক বিনোদনের সবরকম পসরা সাজিয়ে হাজির হয় পর্যটকদের সামনে।
এবার সেই পথে হেঁটে পুরী থেকে কোণার্কের মধ্যে মেরিন ড্রাইভের সমুদ্রতটে ৫টি শ্যাক, গোপালপুর সমুদ্রতটে ৫টি শ্যাক, তালসারি-উদয়পুর সমুদ্র সৈকতে ৩টি শ্যাক, পারাদ্বীপ সমুদ্রতটে ৩টি শ্যাক, চণ্ডীপুর সমুদ্রতটে ২টি শ্যাক ও পাতি সোনাপুর সমুদ্রতটে ২টি শ্যাক তৈরি করতে চলেছে ওড়িশা সরকার। যা এবার ওড়িশার সমুদ্র সৈকতকেও করে তুলবে গোয়ার মতই লাস্যময়ী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা